কমিশনের নির্দেশ মেনে পুরপ্রশাসক পদে নতুন নিয়োগ করল মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি
কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশিরভাগ পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত বছরেই। কিন্তু করোনা আতঙ্কে শেষবেলায় স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ সকাল দশটায় শেষ হয়েছে কমিশনের দেওয়া সময়সীমা। শনিবার পুর প্রশাসক পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরানোর নির্দেশ দেয় কমিশন। পরিষেবা চালাতে সরকারি আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে আজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে সরকারি আধিকারিকদের বসানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।
কোথায় কে, দেখে নিন
কলকাতা পুরসভার দায়িত্ব পেলেন খলিল আহমেদ। বিধাননগর পুরসভায় দেবাশিস ঘোষ
আসানসোল নিতীন সিংঘানিয়া শিলিগুড়ি সুরেন্দ্র গুপ্তা
চন্দননগর স্বপন কুন্ডু
হাওড়া অভিষেক ত্রিপাঠী
দুর্গাপুর পুরসভায় রেগুলার বোর্ডই রয়েছে
কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশিরভাগ পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত বছরেই। কিন্তু করোনা আতঙ্কে শেষবেলায় স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচন। এরপর আপদকালীন পরিস্থিতিতে পরিষেবা চালু রাখতে পুরসভাগুলিতে প্রশাসক নিয়োগ করে সরকার। আগের বোর্ডে যিনি মেয়র বা চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনিই প্রশাসকের দায়িত্ব পান। কিন্তু বিধানসভাকে এড়িয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ভোটের মুখে এদিন সমস্ত পুরপ্রশাসককে সরানোর নির্দেশ জারি করল কমিশন।
২২ মার্চ সকাল ১০ টার মধ্যে প্রশাসকদের সরিয়ে পুরসভার দায়িত্ব নিতে হবে মুখ্যসচিবকে। শুধু তাই নয়, ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে দায়িত্ব বন্টনের প্রক্রিয়াও শেষ করে ফেলতে হবে। সেই মতো আজ সকাল ১০ টার মধ্যে নতুন নাম দেয়ার নির্দেশ মুখ্যসচিবকে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই সিদ্ধান্ত মেনে প্রশাসক পদে বহাল করলেন মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি।