অনলাইনে ভর্তি হয়েও জয়পুরিয়া কলেজে পড়ার সুযোগ পেলেন না ২ ছাত্রী
ছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে ৭-৮ হাজার টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু, তা দেননি ওই ছাত্রী। বদলে অন লাইনে অ্যাডমিশন নিয়ে নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নম্বর আছে..অন লাইনে ভর্তিও হয়েছেন। তবুও কলেজে পড়ার সুযোগ নেই। কারণ ভেরিফিকেশনের দিন কলেজেই ঢুকতে দেননি দাদারা। অধ্যক্ষকে জানিয়েও ফল হয়নি। অ্যাকাউটেন্সি অর্নাস নিয়ে জয়পুরিয়াতে ভর্তি হতে গিয়ে এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি দুই ছাত্রী।
একজনের বাড়ি আসানসোল, অপরজন কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা। দুজনেই অ্যাকাউটেন্সি অর্নাস পড়তে চান। দুই ছাত্রীর মধ্যে আরও একটা কমন বিষয় হল- জয়পুরিয়া কলেজে ভর্তি হতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন দুজনেই। জয়পুরিয়া কলেজে আবেদন করেন দুজন। মেধা তালিকার ওপরের দিকে নাম ওঠে। এবার এন্ট্রি কলেজের দাদাদের। সোজা কথা মার্কস যাই থাক,ভর্তি হতে টাকা লাগবে।
আরও পড়ুন: কলেজে তোলাবাজিকাণ্ডে গ্রেফতার জয়পুরিয়ার প্রাক্তন জিএস তিতান
ছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে ৭-৮ হাজার টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু, তা দেননি ওই ছাত্রী। বদলে অন লাইনে অ্যাডমিশন নিয়ে নেন। কিন্তু, কে জানত সেখানেও বিপদ? ভেরিফিকেশন ডেট পড়ে শনিবার। নির্ধারিত সময় কলেজে পৌছেও যান দুজন। অভিযোগ, নানা অজুহাতে তাঁদের ভিতরে ঢুকতেই দেয়নি দাদারা। ব্যর্থ হয়ে সোমবার ফের কলেজে যান দুই ছাত্রী। কাহানিতে আরও টুইস্ট। এবার অধ্যক্ষ জানান,কাউন্সেলিংয়ের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আর ভর্তি নেওয়া যাবে না। ছাত্রীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ যখন একথা বলছেন, তখন ভিতরেই বসে সেই ব্যক্তি যিনি টাকা দাবি করেছিলেন। এমনকি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ আনছেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: জয়পুরিয়া কলেজে তোলাবাজি রুখতে এবার কড়া দাওয়াই!
দুই ছাত্রীর অভিযোগ, ভর্তি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে কলেজেরই কেউ কেউ। তাই সাহায্য মেলেনি কোথাও। নিরুপায় হয়ে দুজন দ্বারস্থ হন পুলিসের। ডিসি নর্থের নেতৃত্ব জয়পুরিয়ায় পৌছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। কথা বলেন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু, ততক্ষণে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কাকে সঙ্গী করে কলেজ ছেড়েছে দুই ছাত্রী।