রাতের অন্ধকারে দাঁতালের হানা, তছনছ করল চা-শ্রমিকদের ঘরবাড়ি
হাতির হামলার হাত থেকে কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ডেয়ারি ফার্মের নিরাপত্তারক্ষী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ডুয়ার্সের বনাঞ্চল সংলগ্ন জনপদে হাতির হানার যেন কোনও বিরাম নেই। প্রায় প্রতি রাতেই এদিক ওদিক হানা দিচ্ছে হাতির পাল। গেরস্থালিতে মজুত চাল, আটা, আনাজপাতি সাবাড় করে দিয়ে চলে যাচ্ছে। সোমবার রাতেও হাতির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেল মালবাজারের নাগরাকাটা ব্লকের ধরণীপুর চা-বাগান ও মেটেলি ব্লকের ইন্ডং চা-বাগান। হাতির তাণ্ডবে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে ৫টি বাড়ি ও ডেয়ারি ফার্ম।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভাঙচুর চালিয়ে মজুত চাল, আটা, আনাজপাতি খেয়ে চলে যায় একটি দাঁতাল। কোনক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন বাসিন্দারা। নাগরাকাটা ব্লকের ডায়না নদীর ধারে ধরণীপুর চা-বাগান। বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সরকারি আর্থিক সাহায্য ও কাঁচা পাতা বিক্রি করে কোনওরকমে দিন গুজরান করেন বাগানের শ্রমিকরা। এই ডায়না নদীর পাশেই অবস্থিত ডায়না বনাঞ্চল। রাতে সেই বন থেকেই একটি দাঁতাল চা বাগানে ঢুকে পড়ে। তাণ্ডব শুরু করে। স্টেশনলাইন ও কালিখোলা পাইপ লাইন শ্রমিক বস্তিতে বাড়ি ভেঙে তছনছ করে। মজুত খাবার খায়। মজুত চাল আটা আনাজপাতি খেয়ে আবার বনে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন, সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, ঘাতককে পরিবেশপ্রেমীদের হাতে তুলে দিল পরিজন
অন্যদিকে, চাপরামারি বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে মূর্তি নদী পেরিয়ে এসে মেটেলি ব্লকের ইন্ডং চা-বাগানে হামলা করে ২ দুই বুনো দাঁতাল। প্রথমে চা-বাগান ম্যানেজার রজত দেবের বাংলোতে হামলা করে হাতি দুটি। সেখান থেকে তারপর একটি হাতি চলে যায় বাগানের মধ্যেই অবস্থিত ডেয়ারি ফার্মের কাছে। চা-বাগান কর্তৃপক্ষই বাগানের মধ্যে একটি ডেয়ারি ফার্ম করেছিল। সেই ডেয়ারি ফার্মের দেওয়াল ভেঙে দেয় দাঁতালটি। খেয়ে নেয় বস্তাবন্দি করে রাখা গরুর খাবার। হাতির হামলার হাত থেকে কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ডেয়ারি ফার্মের নিরাপত্তারক্ষী। খুনিয়া স্কোয়াডে খবর খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা। অনেক চেষ্টায় তারপর হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরানো হয়।