স্বামী বিএসএফ-এ কর্মরত, সেইসুযোগে রাতবিরেতে প্রচুর ছেলে বাড়িতে ঢোকাত দীপা! উঠে আসছে আরও তথ্য

এক বছর আগেই নরেন্দ্রপুরের নেতাজিনগর এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া আসে দীপা। তার স্বামী বিএসএফ-এ কর্মরত। 

Updated By: Aug 27, 2019, 11:28 AM IST
স্বামী বিএসএফ-এ কর্মরত, সেইসুযোগে রাতবিরেতে প্রচুর ছেলে বাড়িতে ঢোকাত দীপা! উঠে আসছে আরও তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্রপুরে পুলিস সেজে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত মূল চক্রী ২২ বছরের তরুণী দীপা মজুমদার সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এল পুলিসের কথায়।

 

জানা গিয়েছে, এক বছর আগেই নরেন্দ্রপুরের নেতাজিনগর এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া আসে দীপা। তার স্বামী বিএসএফ-এ কর্মরত। কাজের সূত্রে বাইরেই থাকেন তিনি। এই এক বছরে খুবই কম বাড়িতে এসেছেন তিনি। মাকে নিয়ে থাকত দীপা। তবে প্রতিবেশীদের কথায় জানা গিয়েছে, দীপার বাড়িতে প্রচুর অচেনা ছেলের আনাগোনা ছিল। রাতবিরেতেও প্রচুর ছেলে আসত তার বাড়িতে।

পুলিস মনে করছে, দীপার প্রেমিকও অর্থাত্ যার সঙ্গে ডাকাতির ছক কষেছিল সে, ওই যুবকও তার বাড়িতে এসে থাকতে পারে। দীপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ অগাস্ট নরেন্দ্রপুরের নেতাজিনগরের ব্যবসায়ী অরূপ দত্তের বাড়িতে পুলিস সেজে ডাকাতি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। মাঝরাতে ডাকাতি হয়। সেসময় বাড়িতে ছিলেন তিনি ও তাঁর বৃদ্ধা মা। অভিযোগ, রাত ২টো নাগাদ দরজায় এসে কয়েকজন আওয়াজ করে। না পেয়ে জানলায় ধাক্কা মারে তারা। পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেয়। ৬জনের দলে ৩জন ছিল সাধারণ পোশাকে আর বাকি তিন জন পুলিসের উর্দি পরে ছিল। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। আলমারি ভেঙে ৭০ হাজার টাকা ও ১৩ ভরি সোনার গয়না লুঠ করে পালায় তারা। যাওয়ার সময়ে বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। 

এই ঘটনায় সেদিনই স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় এক জন। বেধড়ক মারধরের পর তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিসের হাতে। পরে গ্রেফতার করা হয় আরও চারজনকে। 

জেলাশাসকের বাঙলোর সামনে বোমাবাজি, গ্রেফতার সিউড়ির তৃণমূল নেতা

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিসের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, অরূপের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল দীপার। অরূপের মা মায়া দত্তকে সে জেঠিমা বলে ডাকত। জেঠিমাও দীপাকে খুব স্নেহ করতেন। ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অরূপের বাড়ির প্রত্যেকটি বিষয় খুব ভালোভাবে জানত দীপা। মায়াদেবীর যে  প্রচুর গয়না আছে, তাও সে জানত। মাস কয়েক আগে বিয়েবাড়ি যাবে বলে মায়াদেবীর কাছে গয়না চায় সে। সরল মনে সেই গয়না দেন মায়াদেবী।

বিয়ে বাড়িতেই দীপার বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে সেই গয়না নিয়ে কথাবার্তা হয়। তখনই তারা ডাকাতির ছক করে। দীপার প্রেমিকই বাংলাদেশের কুখ্যাত ডাকাত রেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

এরপর রেজাউল, দীপা ও প্রেমিক মিলে ডাকাতির ছক করে। ‘অপারেশন’ এর আগে অরূপ দত্তের বাড়িতে একটি পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেয় তারা। সেখানে আরও ভালোভাবে সব ছানবিন করে নেয় তারা। ঘরের জিনিসপত্র, ঠাকুরের গায়ে বিপুল গয়না দেখে আসে তারা। এরপর ছক মারফত নির্দিষ্ট দিনে ডাকাতি হয় নেতাজিপল্লিতে। 

 

.