ভোটের ওষুধ দেওয়া শেষ, কমিশনের নজরবন্দিতে আমার বয়েই গিয়েছে : অনুব্রত

অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে নির্বাচন কমিশন একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

Updated By: Apr 28, 2019, 10:18 PM IST
ভোটের ওষুধ দেওয়া শেষ, কমিশনের নজরবন্দিতে আমার বয়েই গিয়েছে : অনুব্রত
নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূম জেলায় নির্বাচনের ঠিক আগের রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করল নির্বাচন কমিশন।  যা শুনে অনুব্রত মণ্ডলের প্রথম প্রতিক্রিয়া, “আমার বয়েই গিয়েছে।”

এই প্রথমবার নয়। এর আগে ২০১৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীনও তাঁকে কমিশনের তরফে নজরবন্দি করা হয়েছিল। তার পর এবার আবার তিনি ভোটের দিন নজরবন্দি অবস্থাতেই থাকবেন।

আরও পড়ুন: কমিশনের নির্দেশে নজরবন্দি অনুব্রত, কী কী বিধিনিষেধ আরোপ হল?

সোমবার লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা। এই দফায় রাজ্যের ৮টি আসনে ভোট হবে। তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম ও বোলপুর। ফলে ভোটের আগের দিন সারাক্ষণ ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।

রাতে বাড়ি ফেরার পর নির্বাচন কমিশনের নজরবন্দি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তিনি জানেন না। কমিশনার পাগলের মতো আচরণ করছেন। তার পরই তিনি বলেন, “আমার বয়েই গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: "২০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও ৬ লাখ ভোটে জিতব"

প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে নির্বাচন কমিশন একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সেগুলি হল, অনুব্রত মণ্ডল এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলে গেলেন। তাঁর সঙ্গে এখন থেকে সবসময় থাকবেন একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁকে ক্যামেরায় নজরবন্দি করেও রাখা হবে।

এই সময়ের মধ্যে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। ফোন জমা রাখতে হবে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে গৃহবন্দি করার দাবি তুললেন ভোটকর্মীরা

সোমবার শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য বুথে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে তাঁর কাছে। আর কোনও বুথে তিনি ঢুকতে পারবেন না। সোমবার দিনভর পার্টি অফিসেই থাকতে হবে অনুব্রতকে।

যার প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, “ভোটের দিন আমি কখনও পার্টি অফিস থেকে বেরোই না। পার্টি অফিসেই বসে থাকি। ভোটে যা ওষুধ দেওয়ার দিয়ে এসেছি। ভোট আমার একচেটিয়া।”

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা বেশি, বললেন মমতা

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কমিশন তাঁকে তাঁর ফোন ব্যবহার করতে দেবে না। কিন্তু তিনি সাধারণ মানুষের ফোন তো ব্যবহার করতেই পারেন।

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও মনে করছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় এসব করছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: 'বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধব আমি-ই', মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার

২০১৬ তাঁকে নজরবন্দি করার বিষয়টিও এদিন টেনে এনেছেন তৃণমূলের কেষ্ট। জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তাঁকে নজরবন্দি করা হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়েছিল। এবারও ভোট বাড়বে।

.