Ration Scam: খোলা বাজারে বিক্রি রেশনের চাল-গম? রানাঘাট-নদিয়ায় চালকল মালিকের বাড়িতে হানা ইডির!
ইডি সূত্রে খবর, রেশনের গম, চাল খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতেন এই সব চালকল, গমকল মালিকরা। তারপর সেই টাকা সরাসরি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে পাঠাতেন তাঁরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নদিয়ার রানাঘাট শহরে রেশন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেটের। রানাঘাটে রেশন সামগ্রী ব্যবসায়ী ও চালকলের মালিক নিতাই ঘোষ। রানাঘাট শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড বহরমপুর রোডের পাশে নিতাই ঘোষের বাড়ি। তাঁর বাড়িতেই হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেটের ৮ সদস্যের একটি দল নিতাই ঘোষের বাড়িতে থানা দেয়। বাড়িটি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। রানাঘাটের পাশাপাশি, নদিয়ার হরিণঘাটাতেও মালিক বিনয় দেবনাথ নামে এক চালকল মালিকের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেইলঙ্গে নগরউখড়া গিরিবালা এগ্রো প্রোডাক্ট জয় বাবা লোকনাথ রাইস মিলেও ইডির হানা।
প্রসঙ্গত, তদন্তে উঠে এসেছে বাকিবুর রহমান ছাড়াও রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে আরও বেশ কিছু চালকল ও গমকলের মালিকরা। ইডির নজরে তাই বেশ কয়েকজন বড় বড় চালকল ও গমকল মালিক। ইডি সূত্রে খবর, রেশনের গম, চাল খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতেন এই সব চালকল, গমকল মালিকরা। তারপর সেই টাকা সরাসরি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে পাঠাতেন তাঁরা। তদন্তকারী সংস্থার প্রাথমিক অনুমান, ২০/৪০ : ৬০/৮০ শতাংশ রেশিওতে মিলেই রেশন ভাগ করা হত। সেখান থেকে রেশন পাঠানো হত ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে। পাঠানোর আগে অফিশিয়াল কাগজপত্রে সরকারি স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হত।
যে কারণেই দেগঙ্গায় একটি মিল থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০৯টি সরকারি স্ট্যাম্প। ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনশিয়াল কমোডিটিস সাপ্লাই করপোরেশন লিমিটেড, চিফ ইন্সপেক্টর, ডিসি (ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই) উত্তর ২৪ পরগনা, ব্লক এক্সটেনশন অফিসার অ্যান্ড ইনসপেকটর অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, পারচেজ অফিসার উত্তর ২৪ পরগনা, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার থেকে সাব ইনসপেকটর (ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই)- সব সরকারি স্ট্যাম্প-ই মিলেছে ওই মিলে! পাশাপাশি তদন্তে উঠে এসেছে, বাকিবুরের সঙ্গে দিনের পর দিন বালুর বৈঠক হয়। দুজনের বৈঠক হত খাদ্য দফতরে। সল্টলেকেও একটি জায়গায় বৈঠক হত। প্রভাবশালী বাকিবুরের গাড়ি থাকত মন্ত্রীর কনভয়েই। রেশন ডিলারদের সঙ্গে মন্ত্রীর কথাতেই যোগাযোগ রাখত বাকিবুর। অমিত দে-র বয়ানে উঠে এসেছে, তাঁর মোবাইল থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে কথা হত বাকিবুরের।
যদিও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সব জানেন। বিজেপি চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। দল তাঁর সঙ্গে আছে। তিনি দলে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। এমনকি খুব তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়া পাবেন। মন্ত্রী বলেন, "আমি নির্দোষ। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সৈনিক। এটা ইডি-বিজেপির চক্রান্ত। আমি প্রমাণ করে দেব ৬ তারিখ। বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে। মমতাদি পুরো ব্যাপারটা জানেন। দল আমার সঙ্গে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আমি আছি। দলের সঙ্গে আমি আছি। ছিলাম ও থাকব। খুব তাড়াতাড়ি আমি ছাড়া পাব। আপনারা জেনে রেখে দিন, অলরেডি এরমধ্যে আমি মুক্ত হয়ে গিয়েছি।"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)