Durga Puja 2022 : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই পুজো, আয়োজনে লক্ষ্মীরাই...
Durga Puja 2022 : নারীরা খেলার মাঠ থেকে পুজো মণ্ডপ, কোথাওই পিছিয়ে নেই। তা হলে, দুর্গাপুজোর সময়ই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? দাসপুরের রাধাকান্তপুরের মহিলারা তাই একজোট হয়ে চালু করেছেন, ‘মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো’। তাও আবার লক্ষীর ভাণ্ডারের জমানো টাকায়! এখানেই শেষ নয়। এই পুজোতে থাকছে মহিলা পুরোহিত এবং মহিলা ঢাকি। তবে, পাড়ায় পাড়ায় হওয়া সাধারণ প্যান্ডেল করে পুজো নয়। একদম ঝাঁচকচকে থিমের পুজো। গ্রামের মহিলাদের এই অভিনব উদ্যোগে সবাই খুব খুশি হলেও সব থেকে বেশি উৎসাহিত কচিকাঁচারা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নারীরা খেলার মাঠ থেকে পুজো মণ্ডপ, কোথাওই পিছিয়ে নেই। তা হলে, দুর্গাপুজোর সময়ই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? দাসপুরের রাধাকান্তপুরের মহিলারা তাই একজোট হয়ে চালু করেছেন, ‘মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো’। তাও আবার লক্ষীর ভাণ্ডারের জমানো টাকায়! এখানেই শেষ নয়। এই পুজোতে থাকছে মহিলা পুরোহিত এবং মহিলা ঢাকি। তবে, পাড়ায় পাড়ায় হওয়া সাধারণ প্যান্ডেল করে পুজো নয়। একদম ঝাঁচকচকে থিমের পুজো। গ্রামের মহিলাদের এই অভিনব উদ্যোগে সবাই খুব খুশি হলেও সব থেকে বেশি উৎসাহিত কচিকাঁচারা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার রাধাকান্তপুর গ্রামে প্রায় পাঁচ বছর ধরে গ্রামের মহিলাদের উদ্যোগে এই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, আগের পুজোর চেয়ে এখন পুজোতে এসেছে নতুনত্ব, কারণ তাদের রাজ্য সরকার যে লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা দেয় সেই টাকা সারা বছর জমিয়ে পুজোতে চাঁদা বা অনুদান হিসাবে দান করেন গ্রামের মহিলারা। আর এবছর সেই টাকাই মূলত খরচ হবে পুজোয়। গ্রামের প্রায় ৮০ জন মহিলা মিলে এই পুজোর আয়োজন করে। বিরাট আড়ম্বর না থাকলেও স্বল্প বাজেটেই এবারের পুজো জমজমাট এবং অনেক কিছু নতুনত্ব আনতে চলেছে মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। তাঁদের কথায়, গ্রামের আশপাশে পুজো হয় না। তাই বাড়ির খুদেগুলোকে নিয়ে দূরে পুজো দেখতে যেতে হত। তাই পুজোর ক’দিন গ্রামের সবাইকে নিয়ে মেতে থাকতেই মহিলারা একজোট হয়ে পুজো করার চিন্তাভাবনা শুরু করেন।
আরও পড়ুন : Durga Puja 2022 : ৬২০০ ফুট উঁচুতে এবার চমক 'স্বর্গের পুজো'
আগে নিজেদের গচ্ছিত টাকা ভেঙে বা চাঁদা সংগ্রহ করে পুজোর ব্যয় বহন হত। কিন্তু এখন গ্রামের মহিলাদের জমানো সারা বছরের লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা বিশেষভাবে আর্থিক সাহায্য় করে। পুজোর বাজেট এবছর আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা হলেও অধিকাংশটাই লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা। এবছর প্রাচীন মন্দিরের আদলে তৈরি করা হচ্ছে পুজো মণ্ডপ। এমনকি আদিবাসী সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরা হচ্ছে প্রতিমার মাধ্যমে। এবছর পুজোয় রক্তদান শিবিরের আয়োজন থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। আপাতত এই মুহূর্তে দুর্গাপুজোকে ঘিরে চরম এখন চরম ব্যস্ততা দাসপুর রাধাকান্তপুর গ্রামের মহিলাদের।