Dilip on Anubrata: 'পার্থ, বালুর বিকল্প আছে, কেষ্টর বিকল্প নেই?' অনুব্রত প্রশ্নে সরব দিলীপ

ভোটের আগে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল। একুশে অপসারণের পর ফের কৃষ্ণনগর জেলা সভাপতি মহুয়া। বীরভূমের তালিকায় নামে নেই অনুব্রতর। কেষ্টয় দূরত্ব বাড়াচ্ছে দল? জল্পনা তুঙ্গে।

Updated By: Nov 14, 2023, 09:56 AM IST
Dilip on Anubrata: 'পার্থ, বালুর বিকল্প আছে, কেষ্টর বিকল্প নেই?' অনুব্রত প্রশ্নে সরব দিলীপ
ফাইল ছবি

অয়ন ঘোষাল: লোকসভা ভোটের আগে সোমবার সাংগঠনিক স্তরে জেলাওয়াড়ি রদবদলের কথা ঘোষণা করেছে জোড়াফুল শিবির। তাতে বীরভূমের জেলা সভাপতি হিসাবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। জেলার চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সভাপতির জায়গায় লেখা, কোর কমিটির কথা। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে কে তা স্পষ্ট নয় ওই তালিকা থেকে। ফলে এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, গরু ও কয়লা পাচার মামলার খাঁড়া ঝুলছে অনুব্রতর মাথার উপর। এই পরিস্থিতিতেই কি ভোটের মুখে কেষ্টর থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে দল? রাজনৈতিক মহলের একাংশ তুলছে এই প্রশ্ন। 

আরও পড়ুন, Joynagar Murder: ১ লক্ষ টাকায় ভাড়াটে খুনি? মূল চক্রী কে? জয়নগরকাণ্ডে ক্লু পুলিসের হাতে

অনুব্রত প্রশ্নে সরব বিরোধীরাও। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ওই একজনই তৃণমূলের সফল জেলা সভাপতি। বাকিরা যায় আসে। ওরাই ভোট করে। ওরাই সংগঠন করে। পার্থ, বালুর বিকল্প আছে। তাহলে কি অনুব্রতর বিকল্প নেই? উনি কয়লা, বালি, পাথর, গরু, চাকরি, সব জায়গায় লুঠ করেছে। পার্টিকে সুবিধা দিয়েছে। তাই ওকে ঝেড়ে ফেলতে সময় লাগছে। বাকিরা দিদির নামে করে খেয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলের গুরুত্ব অনেক বেশি। তিনি দিদিকে বড় করেছেন।'

প্রসঙ্গত, গত বছর ১১ অগাস্ট গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বছর খানেকেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি তিনি। জেল যাত্রার আগে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির পদ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে সামলেছেন কেষ্ট। এই আবহে, গত পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জেলার সংগঠনের দায়িত্ব সামলাতে বীরভূমে কোর কমিটি তৈরি করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির সদস্য ৭। লোকসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক স্তরে ঘুটি সাজাচ্ছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, তৃণমূলের লক্ষ্য, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে ভোটে সব শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া।

এদিন জয়নগর কাণ্ডের মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ও ধংস লীলা আজ নয়। অনেকদিন ধরেই হচ্ছে। বিগটুই, বীরভূমের একাধিক জায়গা। মূলত মুসলিম সমাজকে টার্গেট করা হচ্ছে। লড়াই ওদের মধ্যে। আর সেটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। ওদের রাজনীতির বোরে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুষ্কৃতি দের নেতা বানিয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তারা যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। যারা সরকারি পার্টিতে আছে, তারা সংরক্ষণ পাচ্ছে। আর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক জিনিস বোগটুই তে হয়েছিল। সরকার কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী কোথায়?'

 

আরও পড়ুন, Bengal Weather: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে গভীর নিম্নচাপ, কাল থেকে রাজ্যে ফের বৃষ্টি?

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.