প্রমীলা বাহিনীকে ময়দানে নামাতে আদা-জল খেয়ে নামল সিপিএম
মহিলা সমিতির নিস্ক্রিয়তা কাটিয়ে দলের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ সিপিএমের কাছে।
মৌমিতা চক্রবর্তী : চলতি নভেম্বরেই সিপিআইএমের মহিলা সমিতির সম্মেলন। তার আগে প্রমীলা বাহিনীর পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তায় আলিমুদ্দিন। মহিলা সমিতির নিস্ক্রিয়তা কাটিয়ে দলের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ সিপিএমের কাছে।
দলের সংগঠন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নয় আলিমুদ্দিন। ঘুরে দাঁড়াতে এখন ভরসা নবীন প্রজন্ম। ছাত্র-যুবদের কাঁধে ভর করেই নতুন করে পথ চলতে চাইছে সিপিএম। আর সেই পথ চলায় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মহিলা সমিতির নিস্ক্রিয়তা। ছাত্র-যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা দলের মূল স্তরে রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেলেও এবার স্থান পাননি কোনও মহিলা সমিতির প্রতিনিধি। উদাসীনতা কাটাতে রীতিমতো ফরমান জারি করে মহিলা সমিতিকে জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন। মহিলা বলে রাত জাগবে না, এমন অজুহাত মানতে নারাজ সিপিএম। আলিমুদ্দিনের দেওয়া নতুন টাস্ক, সক্রিয়ভাবে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করুক মহিলা সমিতি। সবুজ-গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণের থেকেও এখন বড় লক্ষ্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো, এমনটাই জানালেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ বোস।
চলতি মাসে মহিলা সমিতির সম্মেলনের আগেই তাকে রোগমুক্ত করাই আপাতত সিপিএমের টার্গেট। আর সেই লক্ষ্যে মহিলা সমিতিকে সাহস জোগাতে চাইছে আলিমুদ্দিন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহিলাদের সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া, প্রয়োজনে রাত জেগে তা সফল করার মতো মানসিকতা আনতে চাইছে সিপিএম। সেক্ষেত্রে কোনওরকম বাধার মুখেও থামতে নারাজ তাঁরা। কনীনিকা ঘোষ বোসের কথায়, "২০১১-এর পর রাতে সভা-সমিতির কাজে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে,এবার মহিলারা নতুন উদ্যমে সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে যাবেন, প্রয়োজনে সভাসমিতির কাজে রাত জাগবেন।"
আরও পড়ুন : হাওড়ায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু এক, জঞ্জাল সাফাইয়ে গাফিলতির অভিযোগ পুরসভার বিরুদ্ধে