কোভিডে মৃত জানতে পেরেই পালাল সত্কার কর্মী, আতঙ্কে অসহায় শ্মশানযাত্রীরা
ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি শহর জুড়ে
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা রোগীর মৃতদেহ দেখে শ্মশান ছেড়ে পালিয়ে গেলো সত্কার কর্মীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি শহর জুড়ে।
জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে মারা যাওয়া করোনা রোগীদের মৃতদেহ এতদিন দাহ করা হত জলপাইগুড়ি জেলার শাহুডাঙি শ্মশানে। সম্প্রতি শাহুডাঙি শ্মশানে পড়ে থাকা মৃতদেহের অবস্থার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। সমস্যা মেটাতে তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি পুরসভা ও অন্যান্য দফতরের সাথে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন- লোকাল ট্রেনের পর লালগোলা সহ বন্ধ হল দূরপাল্লার ট্রেন, জেনে নিন তালিকা
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) কোভিড হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীদের দেহ জলপাইগুড়ি শহরে মাসকলাইবাড়ি হিন্দু শ্মশানে গভীর রাতে দাহ করা হবে। এরপর শ্মশান স্যানিটাইজ করা হবে। তারপর থেকে আবার সারাদিন ধরে অন্যান্য মৃতদেহ গুলি দাহ করা হবে। এরপর আবার গভীর রাতে করোনা রোগীর মৃতদেহ দাহ করা হবে। এইভাবে পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে কাজ।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি শ্মশানে আনা হয় করোনায় মৃত(Covid Deadbody) ৩ জনের দেহ। এরপরই ছন্দ পতন। করোনা রোগীর মৃতদেহ আনা হয়েছে শুনে শ্মশান ছেড়ে পালায় দুইসত্কার কর্মী।
এবার ভোর রাত থেকে একের পর এক সাধারন মানুষের মৃতদেহ আসতে থাকে। শ্মশান স্যানিটাইজ না হবার ফলে সত্কার কর্মী না আসায় তারা অসহায় অবস্থায় বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করতে থাকে। তারাই নিজেদের উদ্যোগে সত্কার কর্মীদের হাতে পায়ে ধরে নিয়ে আসে। কিন্তু সত্কার কর্মীরা সাফ জানিয়ে দেয় শ্মশানে পিপিই কিট, মাস্ক ইত্যাদি পড়ে আছে। তারা যেহেতু স্থায়ী কর্মী নন তাই শ্মশান স্যানিটাইজ না হলে তারা দাহ করার কাজ শুরু করবেন না।
আরও পড়ুন-দিনহাটায় TMC কার্যালয় থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত উদয়ন গুহ, হাতে-মাথায় লাঠির আঘাত
খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে জলপাইগুড়ি পুরসভা। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্মশান স্যানিটাইজ করা হলে ফের শুরু হয় দাহ করার কাজ।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চ্যাটার্জী বলেন সরকারী সিদ্ধান্ত আমরা মানতে বাধ্য। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন গতকাল রাতে আমি নিজে দাহের সময় উপস্থিত ছিলাম। দাহ শেষ করে শ্মশান স্যানিটাইজ করা হয়েছে। আজ আর একবার স্যানিটাইজ করে তারপর দাহ শুরু হবে। আর যেহেতু আজ প্রথম এই ধরনের রোগীর দেহ দাহ করা হোলো তাই সাময়িক ভাবে কিছু সমস্যা হয়েছে। এরপর থেকে এই সমস্যা মিটে যাবে বলে জানান তিনি।