করোনার ভুয়ো আতঙ্কের জেরে পাড়ায় ঢুকতে বাধা, পথেই রাত কাটল পরিযায়ী শ্রমিক মা ও তাঁর সদ্যজাতর

গৌতমের স্ত্রী সোনালী গর্ভবতী হওয়ায় লকডাউন ঘোষণা হওয়া মাত্রই পন্যবাহী গাড়িতে চেপে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। 

Updated By: Apr 28, 2020, 06:08 PM IST
করোনার ভুয়ো আতঙ্কের জেরে পাড়ায় ঢুকতে বাধা, পথেই রাত কাটল পরিযায়ী শ্রমিক মা ও তাঁর সদ্যজাতর

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কের জেরে সদ্যোজাতকে নিয়ে বিপাকে মা। পাড়ায় ঢুকতে না পেরে বাচ্চাকে নিয়ে কার্যত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হল তাঁরে। ঘটনাটি বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধের চুরকি গ্রামর। স্থানীয় সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার ভবানীপুর এলাকায় লকডাউনের আগে দিনমজুরের  কাজ করতে এসেছিলেন গৌতম সোরেন ও সোনালী সোরেন নামে বাঁকুড়ার ওই দম্পতি। গৌতমের স্ত্রী সোনালী গর্ভবতী হওয়ায় লকডাউন ঘোষণা হওয়া মাত্রই পন্যবাহী গাড়িতে চেপে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা।

তবে ফেরাই সার, ভুয়ো আতঙ্কের জেরে তাঁদের পাড়ায় ঢুকতে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়ে তাঁদের পুনরায় চন্দ্রকোণায় ফিরে আসতে হয়। অবশেষে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শুক্রবার চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন সোনালী। একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সোনালী। এরপর সচিত্র পরিচয় পত্র আনতে বাঁকুড়া চুরকি গ্রামে যান গৌতম। তারপর থেকেই গৌতমের সাথে সোনালীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।সোমবার হাসপাতাল থেকে সোনালীকে ছেড়ে দেওয়া হলেই দেখা দেয় চরম বিপত্তি।

চন্দ্রকোণার ভবানীপুর এলাকায় সোনালী নিজের এক আত্মীয়ার বাড়িতে গেলেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সদ্যজাতকে নিয়ে গ্রামের বাইরেই রাত কাটে মা ও সদ্যজাতর। এরপর খবর যায় ভবানীপুরের গ্রামের এক ক্লাব সংগঠনের কাছে। শেষে ক্লাব ঘরেই মা ও সদ্যজাতর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত ওই ক্লাবেই থাকবেন সোনালী দেবী এবং তাঁর সন্তান। 
তাঁদের পাশে দাড়িয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বরাও। 

.