বলাগড়ের লঞ্চ কারখানা ঘিরে বিতর্ক, মালিকের পাল্টা অভিযোগ তোলা না দেওয়াতেই যড়যন্ত্র
লঞ্চ কারখানা থেকে গঙ্গায় লঞ্চ নামানোর সময় গঙ্গার পাড় ভাঙবে। গাছ কাটা হবে, বোল্ডার খসবে। এতে তলিয়ে যাবে গঙ্গা পাড়ের গ্রাম। এই অভিযোগে বলগাড়ে লঞ্চ কারখানার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। কারখানা মালিকের অভিযোগ, স্থানীয় ক্লাবকে তোলা না দেওয়ায় রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : লঞ্চ কারখানা থেকে গঙ্গায় লঞ্চ নামানোর সময় গঙ্গার পাড় ভাঙবে। গাছ কাটা হবে, বোল্ডার খসবে। এতে তলিয়ে যাবে গঙ্গা পাড়ের গ্রাম। এই অভিযোগে বলগাড়ে লঞ্চ কারখানার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। কারখানা মালিকের অভিযোগ, স্থানীয় ক্লাবকে তোলা না দেওয়ায় রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ফেরি পারাপারে দুর্ঘটনা এড়াতে রাজ্যের সমস্ত ফেরিঘাটে ভুটভুটি নৌকা তুলে দিয়ে লঞ্চ পরিষেবা চালু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের নাম জলধারা। প্রকল্পের লঞ্চ তৈরির বরাত পেয়েছে বলাগড়ের "দাস বোটস্ বিল্ডার্স'। গঙ্গার ধারে বলাগড়ের চাঁদরা কলোনির ঘোলাঘাট এলাকায় লঞ্চ তৈরির কারখানা। ইতিমধ্যেই চল্লিশটি লঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু শুরু হতে না হতেই বিপত্তি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কারখানায় লঞ্চ তৈরি করে গঙ্গায় নামানো হলে বাধ ভাঙবে। গ্রাম তলিয়ে যাবে। যদিও কারখানার মালিক অরিজিত্ দাসের অভিযোগ, ক্লাবের নাম করে তোলা চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। টাকা দিতে অস্বীকার করাতেই এই ঝামেলা। অরিজিত্ দাস আবার হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য রুণা খাতুনের স্বামী। তিনি নিজেও তৃণমুল করেন। রুণা খাতুনেরও দাবি, গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, কাজের চাপে হাঁসফাঁস প্রেম! প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর পেয়ে আত্মঘাতী প্রেমিকও
এর আগে পাটুলির ভাসমান বাজারের জন্য ১১০টি নৌকার বরাত পেয়েছিল বলাগড়। তারপরই লঞ্চ তৈরি বরাত পায় এই কারখানা।