ভাড়াটের ছদ্মবেশে রাজ্যে বেআইনি অস্ত্রের কারখানা, সিআইডি অভিযানে পর্দাফাঁস
বন্দুক তৈরির কারিগরদের ভাড়াটে সাজিয়ে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা কারবার। সিআইডি অভিযানে পর্দাফাঁস মহেশতলা ও হাওড়াতে। দুই জায়গা থেকে গ্রেফতার মোট তিনজন। উদ্ধার হয়েছে ৬৮টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম।
ওয়েব ডেস্ক: বন্দুক তৈরির কারিগরদের ভাড়াটে সাজিয়ে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা কারবার। সিআইডি অভিযানে পর্দাফাঁস মহেশতলা ও হাওড়াতে। দুই জায়গা থেকে গ্রেফতার মোট তিনজন। উদ্ধার হয়েছে ৬৮টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম।
৯এমএম, ৭এমএম...সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ৬৮। সবই তৈরি এরাজ্যে। কলকাতা থেকে খুব দূরেও নয়। রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি অস্ত্রের কারবার। কলকাতার অদূরে অস্ত্র কারখানার হদিশ। রমরমিয়ে চলছে বেআইনি অস্ত্রের কারবার।
মহেশতলার ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বিধানগড়। শান্তশিষ্ট পাড়াতে বাড়ি ভাড়া করে তৈরি হত অস্ত্র। মালিক গৌতম রায় সহ দুই কারিগর মহম্মদ নজরুল ও মহম্মদ সাবির আলম এখন সিআইডির জালে। সিআইডির অভিযানের পর জানা গেছে, মহম্মদ নজরুল ও মহম্মদ সাবির আহমেদ আদতে মুঙ্গেরের বাসিন্দা। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির মূল কাজটা করত এরা দুজন। মোটা টাকায় গৌতম রায়ের বাড়ির একতলা ভাড়া নেয় দুজন। প্রথমে সঙ্গে পরিবার আনলেও, মাসখানেকের মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৬ মাস ধরে চলছিল অস্ত্র বানানোর রমরমা কারবার। বাইরে থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম কিনে এনে জড়ো করা হত এখানে। তারপর তা জুড়ে তৈরি হত অস্ত্র। তারই নমুনা ছড়িয়ে বাড়ির উঠোনে। পুরো কাজকারবারের বিন্দুবিসর্গও জানতেন না পাড়া-প্রতিবেশীরা।
মহেশতলার কায়দাতেই ভাড়াটে সেজে অস্ত্র কারখানা চলছিল টিকিয়াপাড়াতেও। সোমবার রাতে নূর মহম্মদ মুন্সি লেনে হানা দেয় কলকাতা পুলিসের টিম। তালাবন্ধ লেদ মেশিনের কারখানা থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও তিরিশটি আনফিনিশড ৯এমএম পিস্তল। গোয়েন্দাদের ধারনা, মহেশতলা ও হাওড়ার দুই কারখানার মাস্টারমাইন্ড সম্ভবত একজনই। (আরও পড়ুন- সাইবার হানা মোকাবিলায় প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ সরকার)