Chhatradhar Mahato: ছেলের বিয়ের পরই বুকে ব্যথা, হাসপাতাল থেকে রিস্ক বন্ডে কলকাতায় ছত্রধর
অক্সিজেন দেওয়া হয়। সারারাত চিকিৎসা চলে। পর্যবেক্ষণে রাখা হয় ছত্রধর মাহাতকে।
চম্পক দত্ত: কার্ড প্রমাণ দিয়ে প্যারোলে ছাড়া পান। তারপর দুই ছেলের বিয়ে-বউভাতে যোগ দিয়েই হাসপাতালে ছত্রধর মাহাত (Chhatradhar Mahato)। জামিনের মেয়াদ শেষে শুক্রবার হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু বৃহস্পতিবারই অসুস্থ হয়ে পড়েন ছত্রধর মাহাত। বুকে ব্যাথা নিয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর রাতেই তাঁকে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৷ সেখানে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর, রিস্ক বন্ডে শুক্রবার সকালে সস্ত্রীক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ছত্রধর মাহাত (Chhatradhar Mahato)।
দুই ছেলের বিয়ে উপলক্ষে এনআইএ আদালতে আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুরের পর, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে আসেন ছত্রধর মাহাত। কয়েকদিন বাড়িতে থেকে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু তারপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে বুকে ব্যথা অনুভব করায় রাতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখান থেকে রাত ১১টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছত্রধর মাহাতকে রেফার করে দেন চিকিৎসকরা। অক্সিজেন দেওয়া হয় তাঁকে। সারারাতই চিকিৎসা চলে। পর্যবেক্ষণে রাখা হয় ছত্রধর মাহাতকে। শুক্রবার সকালে খানিকটা সুস্থ বোধ করেন তিনি। অক্সিজেন ছাড়া থাকেন। তারপরই রিস্ক বন্ডে কলকাতায় আসার সিদ্ধান্ত।
স্ত্রী নিয়তি মাহাত বলেন," চিকিৎসকরা যা বলার বলেছেন। তবে রিস্ক বন্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জেল থেকে বাড়িতে ফিরেই কিছুটা অসুস্থ দেখাচ্ছিল ৷ তারপর বাড়িতে বিয়ের কাজকর্মে আরও খানিকটা অসুস্থ হয়ে যান ৷ সকালে লালগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখানোর পরে কিছুটা স্বস্তি হলেও, বিকেলের পরে ফের বুকে ব্যথা ওঠে। অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ তারপরই ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷" কলকাতায় এনআইএ-এর আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর অনুমতি পেলে এসএসকেএম বা অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবেন বলেও জানান নিয়তি মাহাত।
আরও পড়ুন, Chhatradhar Mahato: ছেলের বিয়ে-বউভাত, কার্ড-প্রমাণে প্যারোল চাইছেন ছত্রধর