Nadda In Bengal: ইউক্রেনে যুদ্ধ থামিয়েছিলেন মোদীজি, ঘরে ফিরেছিল বাংলা-সহ দেশের ২২,৫০০ পড়ুয়া: নাড্ডা
মোদীজির বিকাশের কথা বলতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসতো চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে, মেড ইন ইন্ডিয়া
মৌমিতা চক্রবর্তী: বাংলায় বদল আসছেই। বিধানসভা নির্বাচনের পর ফের পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মনে করালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। রবিবার বর্ধমানের পূর্বস্থলীর সভায় নাড্ডা বলেন, বাংলা সবসময় দেশকে দিশা দিয়েছে। একসময় বলা হতো বাংলা আজ যা ভাবে গোটা দেশ তা পরদিন ভাবে। জনসভার এই জনস্রোত বলছে বদল আসছে। মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা।
আরও পড়ুন-আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার কথা ছিল, উল্টে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৫১ হাজার
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনাদের বলতে চাই মোদজির নেতৃত্বে কোথায় এগিয়ে গিয়েছে দেশ। যে ব্রিটেন আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছে সেই ব্রিটেনকে আমরা পেছনে ফেলে বিশ্বে পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মান্যতা পেয়েছি। একেই বলে বিকাশ। আপনারা শুনতেন গাড়ি জাপান বানায়। এখন মোদীর জমানায় জপানকে পেছনে ফেলে ৩ নম্বর গাড়ি উত্পাদক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। একসময় আমরা ওষুধ বাইরের দেশ থেকে কিনতাম। এখন আমরা ওষুধ অন্য দেশকে দিই। সবচেয়ে সস্তা ও উপকারী ওষুধ এখন ভারতর তৈরি করছে।
মোদীজির বিকাশের কথা বলতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসতো চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে, মেড ইন ইন্ডিয়া। মোদীজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা-যুব-কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদীজি। আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদীজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন। সুরক্ষা কবজ এখন আপনাদের হাতে। আপনারা জানলে খুশি হবে, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবারহ করে। মোট ৪৮ দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে। আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ।
ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে নাড্ডা বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। কেন দেশের রাষ্ট্রপতি যুদ্ধ থামিয়ে নিজের দেশের সন্তানদের সেখান থেকে ফিরিয়ে এনেছে? অস্ট্রেলিয়া করেছে? পাকিস্তান করেছে? কিন্তু মোদীজির ব্যক্তিত্ব দেখুন, উনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন, জেলেনেস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন, যুদ্ধ থামিয়ে আমাদের দেশের ২২,৫০০ পড়ুয়াকে নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে এনেছেন। বাংলারও ৩০০ পড়ুয়া নিরাপদে ঘরে ফিরেছেন। শুনে ভালো লাগছে। দিদি, এভাবেই মোদীজি বাংলাকে দেখেন। সবার বিকাশ, এটাই মোদীজির মন্ত্র। আমরা ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলি। আপনারা সেই কাজ করতে পারেননি। কোনও ব্যাপার নয়। পরের বারের জন্য তৈরি হোন। এক ধাক্কা আরও দিন। ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ুন। মোদীজি বাংলার জন্য কোনও কোনও কার্পণ্য করেননি। মোদীজি কলকাতা মেট্রোর জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য ১৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। সত্যজিত রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জন্য ৬৩ কোটি টাকা দিয়েছেন, আইএসআইয়ের জন্য ২৩ কোটি টাকা দিয়েছেন। শিলিগুড়ি, মেদিনীপুরকে জাতীয় সড়কের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখানে তৃণমূল কর্মীরা রেশন চুরি করে। এদের আর থাকতে দেবেন? ফলে পরের বারের জন্য তৈরি হোন।