গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থী থেকে পুলিস, সবাইকেই ৫ লাখ টাকার বিমা দেবে রাজ্য সরকার
এবার প্রথম ক্রাউড ট্র্যাকিং সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে যে কোনও সময় যে কোনও নির্দিষ্ট একটি স্থানে মোট কত জমায়েত হয়েছে তা বোঝা যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের বিমা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৫ লাখ টাকা করে বিমা দেওয়া হবে। শুধু পুণ্যার্থী নয়, কর্তব্যরত পুলিস অফিসার থেকে ভলান্টিয়ার প্রত্যেকের জন্যই থাকবে এই বিমা। নবান্ন সূত্রে খবর, ১১ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত, যাঁরাই গঙ্গাসাগরে ঢুকবে, তাঁদের সবার জন্য এই ৫ লাখ টাকা করে বিমার বন্দোবস্ত থাকবে।
সোমবার নবান্নের তরফে চলতি বছরের গঙ্গাসাগরের মেলার জন্য সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা প্রকাশ করা হয়। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে-
১) ১১ তারিখ থেকে পুণ্যার্থীরা আস্তে পারবেন গঙ্গাসাগরে।
২) এবার মেলায় ৪০ লক্ষ্য মানুষের ভিড় হতে পারে।
৩) মেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিভিল এন্ড থেকে ১০০০টি ও জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে ২৫০টি সিসিটিভি থাকছে।
৪) একটি মেগা কন্ট্রোল রুম থাকবে। সেখানে থাকবেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার।
৫) ২০টি ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে মেলায়।
৬) এবার প্রথম ক্রাউড ট্র্যাকিং সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে যে কোনও সময় যে কোনও নির্দিষ্ট একটি স্থানে মোট কত জমায়েত হয়েছে তা বোঝা যাবে।
৭) মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে গঙ্গাসাগর মেলার সব তথ্য থাকছে।
৮) গঙ্গাসাগর মেলা চত্বরে ২৫টি ওয়াই-ফাই জোন থাকছে।
৯) থাকছে মোবাইল রিচার্জিং পয়েন্ট, ল্যান্ডলাইন ফোন বুথও।
১০) ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করা হয়েছে।
১১) পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৩৭০০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১২) যাত্রী পারাপারের জন্য ৬টি বার্জ থাকছে। প্রত্যেকটা বার্জে একবারে ৪ থেকে ৫০০০ মানুষকে পারাপার করানো যাবে।
১৩) ১০০টি লঞ্চ নামখানা থেকে চেমাগুরি পর্যন্ত চলবে।
১৪) এরমধ্যে ৩২টি লঞ্চ রাজ্য পরিবহণ দফতর দিয়েছে।
১৫) ৫০০০ হাজার সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার থাকছে।
১৬) ৮টি অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা থাকছে। আরও পড়ুন, গণধর্ষণের পর বাইক থেকে পেট্রোল বের করে পোড়ানো হয়েছিল দঃ দিনাজপুরের কিশোরীকে
১৭) ২টি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে।
১৮) অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
১৯) ৩টি হেলিপ্যাড তৈরি রাখা হয়েছে।
২০) ৪টে ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে। যারমধ্যে ২টি পুলিসের তরফে ও ২টি জেলা পরিষদের তরফ থেকে থাকছে।
২১) ৫টি সিসিইউ তৈরি রাখা হয়েছে।
২২) ৭৫টি ফার্স্ট এইড বুথ তৈরি করা হয়েছে।
২৩) একইসঙ্গে ৮৫টি মোবাইল অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি থাকছে।