Anubrata Mondal: অনুব্রতর ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত, কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ আদালতের
Anubrata Mondal: আদালতের নির্দেশ, কোনও কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে দেখাতে হবে। ওই সময় তাঁর দু'জন আইনজীবীকে সঙ্গে রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে বেজে দশ মিনিট নাগাদ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: গোরুপাচার মামলায় (Cattle/Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আদালত। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারির পর বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তোলা হয়। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী ধৃত জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠান। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ, কোনও কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে দেখাতে হবে। ওই সময় তাঁর দু'জন আইনজীবীকে সঙ্গে রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে বেজে দশ মিনিট নাগাদ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়।
এদিন আসালসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করা হয়। লিফ্টে করে চারতলায় ওঠেন 'কেষ্টদা'। চারতলায় উঠে তিনি হাঁপাতে থাকেন। এরপর আদালতে অক্সিজেন কনসেট্রেটর নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত সূত্রে খর, অনুব্রত মণ্ডলের কাছেই তাঁর শরীরিক অবস্থার কথা জানতে চান বিচারপতি। দাঁড়িয়ে উত্তর দিতে কষ্ট হওয়ায় তাঁকে বসেই কথা বলতে বলেন বিচারপতি। উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। বুকে ব্লকেজ, ব্যথা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, ফিসচুলা, কিডনিক সমস্যা এবং পা ফুলে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। এদিন প্রথমে আটক করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপর এসিএল হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গ্রেফতারির পর তাঁকে নিয়ে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। সেখানে তাঁকে পেশ করা হয়। গোরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে মোট ১০টি নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে দশম নোটিসের পরেও তিনি হাজিরা এড়ান। এরপর বোঝাই যাচ্ছিল যে কোনও বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন তদন্তকারীরা।
সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িয়ে পৌঁছে যান সিবিআই-এর আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে পুরো বাড়ি আধাসেনা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। একই সঙ্গে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেননি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তাঁকে গ্রেফতারি পরোয়ানায় সই করতে বললেও তিনি রাজি হননি। তখনই তাঁকে আটক করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিবিআই আধিকারিকরা।