নজিরবিহীন! একবছরে ৩০ লক্ষ রোগীকে পরিষেবা, তথ্য দেখে চোখ কপালে SSKM কর্তৃপক্ষের

এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। যা কার্যত অবাক করেছে খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই। 

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: Priyanka Dutta | Updated By: Jan 13, 2020, 01:40 PM IST
নজিরবিহীন! একবছরে ৩০ লক্ষ রোগীকে পরিষেবা, তথ্য দেখে চোখ কপালে SSKM কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিসংখ্যান বলছে এক বছরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। যা কার্যত অবাক করেছে খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই। সম্প্রতি এমনই চমকে দেওয়া তথ্য জমা পড়েছে স্বাস্থ্যভবনে। যাকে কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে এ রাজ্যে কোন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কত সংখ্যক রোগীকে আউটডোর পরিষেবা দিয়েছে, কতজন ভর্তি হয়েছে, কতজন নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন তার পরিসংখ্যান জমা পড়েছে স্বাস্থ্যভবনে। 

আরও পড়ুন: ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই সফল ভাবে স্তন ক্যান্সার ঠেকাতে পারে ব্রকোলি, দাবি বিজ্ঞানীদের

সেখানেই দেখা যাচ্ছে, SSKM রয়েছে শীর্ষেই। শুধু নয়, অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ রোগী বেশি এসেছেন ২০১৯ সালে। আবার ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে রোগী আসার পরিমান ২২ শতাংশ বেড়েছে।

সরকারি তথ্য সূত্র অনুযায়ী: ২০১৯ সালে জরুরি বিভাগে এ ২৩৪২০০ রোগী এসেছেন। আউটডোরে  রোগী এসেছেন ২২৩৪২৭৩ জন। ভর্তি হয়েছিলেন ৮৮৪০১ জন। ২০১৯ সালে তা অনেকটাই বেড়েছে। জরুরি বিভাগে এসেছেন ২৫২০১৪ জন। আউটডোরে রোগী এসেছেন ২৭০২০৮৩ জন। ভর্তি হয়ে চিকিৎসা পেয়েছেন ৯৪০৭৯ জন। ২০১৭ থেকে ২০১৯, পরপর ৩  বছরে ইনডোর আউটডোর রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। একদিকে নিখরচায় নামী চিকিৎসকদের চিকিৎসা আর পিজি নামটাই যেন  ভরসা যুগিয়েছে সাধারণ মানুষকে। শহরের অন্যান্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজের তুলনায় বেশি বিশ্বাস, পরিকাঠামো, পরিচ্ছন্নতা, উৎকর্ষতার কারণে এই ভিড় বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। 

আরও পড়ুন: দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় আচমকা বিস্ফোরণ, ঝলসে গেলেন ৫ জন

শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের পাশাপাশি ভিনরাজ্য থেকেও রোগীরা এসেছেন চিকিৎসা নিতে আসছেন। এমনটাই জানাচ্ছেন হাসপাতাল সুপার রঘুনাথ মিশ্রর। তিনি বলেন, "আস্থা রেখেই বেশিরভাগ মানুষ  আসেন। এখানে নামী চিকিৎসক, পরিকাঠামো, পরিষেবা পাওয়ার জন্যই ভিড়। আমরাও চেষ্টা করছি। সরকার সবকিছু নিখরচায় করছে। লক্ষ লক্ষ টাকার অপেরেশন হয় বিনামূল্যে। অন্যদিকে এক রোগী মনোজ দাস বলেন, "কৃষ্ণনগর থেকে এসেছি। পিজি হাসপাতাল সবচেয়ে ভাল। তাই ছেলের অপেরেশন র জন্য এসেছি।

.