বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছেন ভারতে আটকে থাকা আফ্রিকান ফুটবলাররা
যেমন রিয়াল কাশ্মীরের ফুটবলার লাভডে। চোখের সামনে দেখছেন যে তাঁর কোচ এবং অন্যান্য ফুটবলাররা ব্যাগ গোছাচ্ছেন বাড়ি ফেরার জন্য। কিন্তু লাভডে-র বাড়ি ফেরার উপায় নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের অতিমারিতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন। ক্রমশই কঠিন হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এরকম কঠিন সময়ে হতাশার মুখে পড়েছেন ভারতে আটকে থাকা আফ্রিকার ফুটবলাররা।
যেমন রিয়াল কাশ্মীরের ফুটবলার লাভডে। চোখের সামনে দেখছেন যে তাঁর কোচ এবং অন্যান্য ফুটবলাররা ব্যাগ গোছাচ্ছেন বাড়ি ফেরার জন্য। কিন্তু লাভডে-র বাড়ি ফেরার উপায় নেই। কারণ তাঁদের ভারত থেকে বের করার উদ্যোগ নেয়নি আফ্রিকার সরকার। শ্রীনগরে লকডাউনের মধ্যে ব্রিটিশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন রিয়াল কাশ্মীরের কোচ ডেভিড রবার্টসন। সেরকমই দলের স্প্যানিশ ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফরাও নিজ নিজ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পেনে ফিরতে চলেছেন।
কিন্তু আফ্রিকার ফুটবলারদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নেয়নি তাঁদের দেশের দূতাবাস। রিয়াল কাশ্মীরের নাইজেরিয়ার ফুটবলার লাভডে জানিয়েছেন, "দুতাবাসে আমার এক বন্ধুকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু সে ফোন ধরেননি। এই কঠিন সময় পরিবারের কাছে থাকতে চাই। দেশে সবার জন্য খুব চিন্তায় আছি।"গতমাসে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই শ্রীনগরে হোটেলে আটকে রয়েছেন লাভডে এবং তাঁর দেশের সতীর্থরা। পূর্ব নাইজেরিয়ায় এখনও করোনাভাইরাস থাবা বসাতে পারেনি। তবুও পরিবারের জন্য উদ্বেগ রয়েছে লাভডে-র মনে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন নাইজেরিয়ার এই ডিফেন্ডার। লাভডে-র মতোই একই অবস্থা দলের আফ্রিকান সতীর্থ অ্যারন কাটেবের। দিনের বেশিরভাগ সময়টা জিমেই কাটাচ্ছেন জাম্বিয়ার এই ফুটবলার। গতসপ্তাহে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কাটেবে। কিন্তু লাভ হয়নি। আপাতত তাঁদের ভারত থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে আইজলে নিজের বাড়িতেই আটকে রয়েছেন উগান্ডার আলফ্রেড জারিয়ান। সতীর্থ রিচার্ড কাসাগার সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন আইজল দলের অধিনায়ক। লকডাউনের পরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবের মুখে পড়তে হয়েছিল আলফ্রেডদের। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিচার্ড।
ভারতে প্রথমদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর কেরালা থেকে এসেছিল। তখন বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন গোকুলাম এফসির ফুটবলার হেনরি কিসেকা। এখন কিছুটা দুশ্চিন্তা কমলেও কিসেকার মন পড়ে উগান্ডাতে। কিন্তু কিসেকারও অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তবে এই কঠিন সময় ভারতে থাকা বিদেশি ফুটবলারদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকটা মাথায় রেখে সবরকমভাবে সাহায্য করছে গোকুলাম ক্লাব,এমনটাই দাবি করেছেন হেনরি কিসেকা।
আরও পড়ুন - করোনা মোকাবিলায় ফিফা'র #BeActive প্রচারে সামিল কলকাতার দুই প্রধানের ফুটবলাররা