Ranji Trophy final: ৪২৫ রানে থামল সৌরাষ্ট্র, রনজি ফাইনালে ধৈর্যের পরীক্ষা এবার বাংলার
বল পড়ে আচমকা নিচু হয়ে যাচ্ছে। হঠাত্ হঠাত্ থমকে যাচ্ছে বলের গতি। আবার কখনও অপ্রত্যাশিত বাউন্স। এমন নিম্নমানের উইকেটে বাংলার ব্যাটসম্য়ানদের শুধু ধৈর্যের পরীক্ষা দিলে চলবে না। সঙ্গে যুঝতে হবে প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শেষ দুই উইকেটে ৬১ রানের পার্টনারশিপ। ধর্মেন্দ্রসিংহ জাডেজা করলেন ৩৩। জয়দেব উনাদকার ২০। সৌরাষ্ট্রের ইনিংস যেন শেষ হতে চাইছিল না। শেষ পর্যন্ত বাংলার বিরুদ্ধে রনজি ট্রফির ফাইনালে সৌরাষ্ট্র থামল ৪২৫ রানে। এবার বাংলার ব্যাটসম্যানদের সামনে ধৈর্যের পরীক্ষা। ৪২৫ রান। বড় স্কোর। তার উপর এই উইকেটে। সৌরাষ্ট্রের এই উইকেট নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছেন ফাইনালের দ্বিতীয় দিন থেকেই। বাংলার কোচ অরুণ লাল সরব হয়েছিলেন। উইকেট নাকি খোয়াড়! তিনি আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার এই উইকেটেই লড়তে হবে বাংলার ব্যাটসম্যানদের।
বল পড়ে আচমকা নিচু হয়ে যাচ্ছে। হঠাত্ হঠাত্ থমকে যাচ্ছে বলের গতি। আবার কখনও অপ্রত্যাশিত বাউন্স। এমন নিম্নমানের উইকেটে বাংলার ব্যাটসম্য়ানদের শুধু ধৈর্যের পরীক্ষা দিলে চলবে না। সঙ্গে যুঝতে হবে প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে। প্রথম ইনিংসের পাহাড় প্রমাণ লিগ সামলানোই এখন অভিমন্যু ঈশ্বরণের দলের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। উইকেটের যা ধরণ তাতে বাড়তি সতর্কতা নিয়ে খেললেও আচমকা বিপদে পড়তে পারেন বাংলার ব্যাটসম্যানরা। হঠাত্ নিচু হওয়া বল যে কোনও সময় এলবিডব্লিউ-এর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। উইকেট সামলে খেলতে হবে। তার সঙ্গে সচল রাখতে হবে স্কোরবোর্ড। বাংলার ব্যাটসম্যানদর অগ্নিপরীক্ষা বটে!
আরও পড়ুন- Ranji Trophy final: রঞ্জি ফাইনালে বিরল ঘটনা! নামে মাত্র লেগ আম্পায়ার, খেলা পরিচালনায় এক আম্পায়ার
আকাশ দীপ নিলেন চার উইকেট। বাংলার আরেক পেসার মুকেশ কুমার পেলেন দুটি উইকেট। ঈশান পোড়েল একটি উইকেট পেয়েছেন। বুধবার আট উইকেটে ৩৮৪ রান হাতে নিয়ে দিন শুরু করেছিল সৌরাষ্ট্র। ৪০০-র মধ্যে আটকে ফেলা যাবে পুজারাদের। এমনটাই আশা করেছিলেন বাংলার ক্রিকেট সমর্থকরা। কিন্তু সেটা হল না ধর্মেন্দ্র সিং জাদেজা, উনাদকারদের জন্য। শেষ উইকেটেও ৩৮ রান যোগ করলেন দুজনে। শেষ পর্যন্ত শাহবাজ আহমেদ উনাদকারকে আউট করেন। বাংলা আপাতত বিনা উইকেটে ২৫ রান করেছে।