সেওয়াগ, পুজারা`বদলা`র স্বপ্ন দেখালেন

বদলার সিরিজের প্রথম দিনটা বেশ ভালই গেল ভারতের। তবে এটাও ঠিক দিনটা আরও ভাল যেতে পারত। ইংল্যান্ড পেসারদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও ম্যাচের প্রথম দিনেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দশে দশ পেলেন সে কথা বলা গেল না। ম্যাচের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে সেওয়াগ-গম্ভীর এমনভাবে খেললেন যে বোঝাই গেল বদলার সিরিজে কতটা সিরিয়াস ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সঙ্গে বীরু-গোতি জবাব দিচ্ছিলেন ক'মাস ধরেই তাঁদের নিয়ে চলা সমালোচনার ঝড়েরও।

Updated By: Nov 15, 2012, 06:46 PM IST

ভারত-৩২৩/৪ (সেওয়াগ- ১১৭, পুজারা-৯৮ অপ) বদলার সিরিজের প্রথম দিনটা বেশ ভালই গেল ভারতের। তবে এটাও ঠিক দিনটা আরও ভাল যেতে পারত। ইংল্যান্ড পেসারদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও ম্যাচের প্রথম দিনেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দশে দশ পেলেন সে কথা বলা গেল না। ম্যাচের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে সেওয়াগ-গম্ভীর এমনভাবে খেললেন যে বোঝাই গেল বদলার সিরিজে কতটা সিরিয়াস ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সঙ্গে বীরু-গোতি জবাব দিচ্ছিলেন ক'মাস ধরেই তাঁদের নিয়ে চলা সমালোচনার ঝড়েরও। ইংল্যান্ডে যে অ্যান্ডারসন, ব্রড, ব্রেসনানরা ধোনি-বীরুদের চোখের জল নাকের জল এক করে দিয়েছিলেন তারাই একেবারে উল্টোখাতে বইলেন। বীরু-গোতি তখন অ্যান্ডারসনদের নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। এমন একটা ভিতে দাঁড়িয়ে রানের বড় `স্কাইস্ক্র্যাপার` উঠবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেরকম একটা বাড়ি তৈরি হবেই এমন কথা প্রথম দিনের শেষে বলা যাচ্ছে না।
কারণ একটাই বীরু-গোতির পর বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের প্রতিপক্ষকে একটু হালকা চালে নেওয়া। যা থেকে বাদ পড়লেন না আজই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেইশ বছর পূর্ণ করা সচিন তেন্ডুলকরও। যার সুযোগ নিলেন ইংল্যান্ড স্পিনার গ্রেম সোয়ান। সোয়ানকে নিয়ে বলা হয় একই সঙ্গে এত মজাদার আর সফল স্পিনআর আর বিলেতে জন্মাননি। সেই সোয়ান নিলেন চার উইকেট। মানে সারা দিনে ভারতের যে কটা উইকেট পড়ল সব কটাই নিলেন সোয়ান। টুইটার পাগল ইংল্যান্ডের এই অফ স্পিনার ভারতীয় পিচে যে আরও জাদু দেখাবেন তা নিশ্চিত করে দিলেন আজই। তবে এত কিছুর পরেও মোতেরার নায়ক কিন্তু ৯৯ তম টেস্ট খেলতে নামা বীরেন্দ্র সেওয়াগ। যাকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের একটা অংশ বলছে এবার তাঁর দিন শেষ হয়ে গেছে, সেই সেওয়াগই সব সমালোচনার জবাব দিয়ে করলেন ১১৭ বলে ১১৭ রান। শুধু শতরানই নয় ইংল্যান্ড বোলারদের 'টুঁটি টিপে' ধরলেন `নজফগড়ের নবাব`। সঙ্গে বদলার সিরিজে পালের হাওয়া ধোনির দিকে টেনে আনলেন। আসলে সেওয়াগ যে কায়দায় ব্যাট করলেন তাতে সফরকারী যে কোন দলের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে বাধ্য।
সেওয়াগের ইনিংসকে মর্যাদা দিলেন চেতাশ্বর পুজারা। সৌরাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যানকে এখন দ্রাবিড়ের শূন্যতা ভরাট করতে নামতে হচ্ছে। আজ যেভাবে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটা খেললেন পুজারা তাতে বলাই যায় মোতেরার প্রথম দিন সেওয়াগকে জিতিয়ে দিল আর পুজারাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করল। তবে হ্যাঁ সব কিছুর মাঝে সচিন-কোহলি আজ হতাশার দুই নাম হয়ে থাকলেন। শুরুটা খারাপ করেননি। কিন্তু `আনলাকি থার্টিন` সোয়ানের আপাত নিরীহ বলে ফিরে গেলেন সচিন। আর কোহলি সোয়ানের যে বলে বোল্ড হলেন তা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। কোহলি আউট হন ১৯ রানে। ফিসফাস শুরু হয়ে যায় তাহলে কি কোহলির জমাট ব্যাটিং টেকনিকে একটা খুঁত পাওয়া গেল। তবে সব ফিসফাস থামল যুবরাজ নামার পর। এক বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে মৃত্যুঞ্জয়ী যুবি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছেন। সব মিলিয়ে ভারতের প্রথম দিনটাকে নিয়ে বলাই যায় আশা দিয়ে শুরু, আশা দিয়ে শেষ।

.