আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ড: বোর্ডের জন্য ৩ রাস্তার বিধান শীর্ষ আদালতের
এন শ্রীনিবাসনের উপর চাপ বাড়াল সুপ্রিমকোর্ট। আইপিএল স্পট ফিক্সিং ও বেটিং কাণ্ডে জামাই গুরুনাথ মেয়াপ্পানের বিরুদ্ধে এক্ষুণি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
নয়া দিল্লি: এন শ্রীনিবাসনের উপর চাপ বাড়াল সুপ্রিমকোর্ট। আইপিএল স্পট ফিক্সিং ও বেটিং কাণ্ডে জামাই গুরুনাথ মেয়াপ্পানের বিরুদ্ধে এক্ষুণি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
আজকের শুনানিতে বিসিসিআই-কে তিনটি রাস্তা দিয়ে যে কোনও একটি বেছে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাস্তা ১- শ্রীনিবাসনকে ছাড়াই বিসিসিআই-এর নির্বাচন সেরে ফেলা। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চট জলদি নয়া বোর্ড কমিটি তৈরি করা।
রাস্তা ২- এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিসিসিআই-এর গভর্নিং কাউন্সিল সদস্যদের নয়া বডি তৈরি।
রাস্তা ৩- প্রাক্তন বিচারপতিদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা। যারা বোর্ড নির্বাচন ও অনান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত নিতে না পারে এই বিষয়ে মুদগল কমিটি অন্তিম সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।
এই তিনটি রাস্তা ছাড়াও অন্য কোনও উপায় আছে কিনা জানতে শ্রীনির আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই সুপ্রিমকোর্টে খোঁজখবর নিচ্ছেন। যদিও আজ দুপুর ২টোর মধ্যেই বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালত শ্রীনিকে জিজ্ঞাসা করেছে একটা আইপিএল দল কিনতে ৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ কি শুধুই ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা থেকে, নাকি এর পিছনে ব্যবসায়িক স্বার্থই মূল উদ্দেশ্য ছিল।
৮ ডিসেম্বর বিচারপতি এস ঠাকুর ও বিচারপতি এফ এম কলিফুল্লাহ-এর ডিভিশন বেঞ্চ তীব্র সমালোচনা করেন প্রাক্তন বিসিসিআই প্রধান এন শ্রীনিবাসনের। প্রশ্ন তোলেন তাঁর জামাই চেন্নাই সুপার কিংস-এর অন্যতম আধিকারিক গুরুনাথ মেয়াপ্পানের বেটিং কাণ্ডে জড়িত থাকার ঘটনা কীভাবে স্বার্থের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনা হতে পারে না।
ব্যবসায়িক স্বার্থ ও একজন পেশাদারীর পেশাদারিত্বকে আলাদা করে শীর্ষ আদালত জানায় ''যারা টাকা উপার্জন করার জন্যই টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তাদের সঙ্গে যারা পেশাদারী পরামর্শ দিয়ে টাকা পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ আলাদা।''
কেন আইপিএল থেকে চেন্নাই সুপার কিংস-কে বাতিল করা হবে না আগের শুনানিতে এই মর্মে প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। বিসিসিআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জাস্টিস মুদগল কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী জরুরীকালীন ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে।
বোর্ডের নির্বাচনের অনুমতি দিলেও কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল তদন্তাধীন সদস্যদের এই নির্বাচন থেকে দূরে রাখার।
ভারতীয় বোর্ডকে আদালত জিজ্ঞাসা করেছিল বিসিসিআই-এর সংবিধান অনুযায়ী ভবিষ্যতে বোর্ডের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে শ্রীনিকে বাদ দেওয়া যায় কিনা।
গত বছরের অক্টোবরে আইপিএল স্পট ফিক্সিং ও বেটিং কাণ্ডে তদন্তের জন্য জাস্টিস মুদগলের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে সুপ্রিমকোর্ট।