Jasprit Bumrah: 'বুমরার চোট সারতে আর কত সময় লাগবে?' প্রশ্ন কাইফের, সিস্টেমকে তুললেন কাঠগড়ায়
Mohammad Kaif wants to know Jasprit Bumrah's recovery time: জসপ্রীত বুমরার ঠিক কীরকমের চোট লেগেছে এবং তাঁর সারতে আর কত সময় লাগবে! ঠিক এই প্রশ্নই টিম ম্যানেজমেন্টকে করলেন মহম্মদ কাইফ। বুমরা ইস্যুতে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন এনসিকে! বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জসপ্রীত বুমরা ( Jasprit Bumrah), জাতীয় সিনিয়র দলের এক নম্বর পেসার। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার সেরা অস্ত্রের ফিটনেস ইস্যু নিয়ে কার্যত ওয়েব সিরিজ বানানো যেতে পারে। গতবছর ২৫ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবার দেশের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। সেটি ছিল টি-২০ ফরম্য়াটে। তার আগে বুমরা জুলাই মাসে শেষবার টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই দেশে। এরপর থেকেই বুমরার ফিটনেস নিয়ে কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে। কখনও শোনা যায় তিনি ফিট হয়ে গিয়েছেন, এই মাঠে নামলেন বলে, তাঁকে নিয়ে দলও সাজানো হয়, আবার মাঠে নামার আগে বা পরে তিনি ছিটকেও যান! এসব নিয়ে এবার বেজায় বিব্রত ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা মহম্মদ কাইফ (Mohammad Kaif)। তাঁর সাফ প্রশ্ন সেরে উঠতে বুমরার আর কত সময় লাগবে। কাইফ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ওরফে এনসিএ-র স্বচ্ছতা নিয়েই তুলে দিলেন প্রশ্ন।
এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাইফ বলেন, 'আমি খেয়াল করে দেখেছি যে, আমাদের সিস্টেমেই দোষ রয়েছে। প্লেয়ারদের দলে নেওয়া হয়, অথচ মাঠে নামার আগেই তাদের তুলে নেওয়া হয়! পরে বলা হয় যে, সে পুরোপুরি ফিট নয়! সম্প্রতি এটা বুমরার সঙ্গে হয়েছে। মহম্মদ শামির ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকবার হয়েছে। আমার বক্তব্য এনসিএ-র ট্রেনার, ফিজিওদের সঙ্গেই ভিভিএস লক্ষ্মণের টিমের এই বিষয়টি যত্ন নিয়ে দেখা উচিত। এটা আসলে ফ্যানদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। যাঁরা ভাবছেন যে, এবার বুমরাকে পরের দিন দেখা যাবে, তাঁরা আর দেখতে পারছেন না। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ম্যানেজমেন্টের কোনও ভাবেই বিষয়টি হালকা ভাবে দেখা উচিত নয়। সবেতে একটা স্বচ্ছতা থাকা দরকার। কাউকে ফিট ঘোষণা করার আগে তাকে ভালো করে পরখ করে দেখা নেওয়া উচিত। কোনও জায়গায় যেন ফাঁক না থাকে। হয় সে ফিট, নয় তার ফিট হতে ১০-১২ দিন লাগবে। এটাই তো গল্প। আমি জানতে চাই ঠিক কীরকম চোট লেগেছে ওর, সারতে কতদিন সময় লাগবে। ওরা বিষয়টা খুলে বলুক আমাদের। আসল ব্যাপারটা সামনে আনুক।'
আরও পড়ুন: Courtney Walsh: জাতীয় মহিলা দলের চাকরি খোয়ালেন টেস্টে ৫১৯ উইকেট নেওয়া কোর্টনি ওয়ালস!
গতবছর জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে একদিনের ম্যাচ খেলার সময় পিঠে চোট পান বুমরা। এরপর তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ফিট না হওয়ার জন্য এশিয়া কাপ পর্যন্ত খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কামব্যাক করেছিলেন বুমরা। তবে প্রথম ম্যাচে তিনি খেলেননি। তখন থেকেই তাঁর চোট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। বাকি দুটি ম্যাচে খেললেও, তাঁর পারফরম্যান্স মোটেও ভালো ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামা তো অনেক দূরের কথা, দল থেকে সোজা জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে চলে যান তিনি। যদিও টসের সময় রোহিত জানিয়ে ছিলেন যে, বুমরার হালকা চোট রয়েছে। তাই তিনি মাঠে নামতে পারেননি। বুমরার বদলে ভারত সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামিয়েছিল দীপক চাহারকে। যিনি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে না থাকলেও স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে গিয়েছিলেন দলের সঙ্গে। বুমরাকে ভোগাচ্ছে ‘স্ট্রেস ইঞ্জুরি’। তাড়াহুড়ো করে মাঠে নামলে ফের চোট লাগার আশঙ্কা থেকেই যাবে। ফলে বুমরার ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিতে নারাজ টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকী চোটের জন্য বুমরা খেলছেন না আইপিএল সিক্সটিনও। এখন দেখার বুমরা ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হতে চলা পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের আগে ফিট হন কিনা।