এবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আইপিএলে
ফাইনালের আগেই ফের নতুন বিতর্কে আইপিএল। ম্যাচ শুরুর আগেই প্লে-অফে দিল্লি বনাম চেন্নাই ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে বলে সরগরম হয়ে উঠল বোর্ড সভাপতির শহর। বিশেষ করে চেন্নাইয়ের সমস্ত সংবাদমাধ্যেমে এই খবর ফলাও করে প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমত চাপে বিসিসিআই কর্তারা।
ফাইনালের আগেই ফের নতুন বিতর্কে আইপিএল। ম্যাচ শুরুর আগেই প্লে-অফে দিল্লি বনাম চেন্নাই ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে বলে সরগরম হয়ে উঠল বোর্ড সভাপতির শহর। বিশেষ করে চেন্নাইয়ের সমস্ত সংবাদমাধ্যেমে এই খবর ফলাও করে প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমত চাপে বিসিসিআই কর্তারা।
ঘটনার সূত্রপাত একটি মেসেজকে ঘিরে। ম্যাচের আগেই মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে প্রচারিত হয়ে যায় আইপিএলের ফাইনালে খেলবে কেকেআর এবং চেন্নাই সুপার কিংস। এরপর ম্যাচ চলাকালীন তিনটি বিষয় এই গড়াপেটার অভিযোগের বিষয়টি আরও উসকে দেয়। এক, টস জিতে দিল্লির অধিনায়ক বীরেন্দ্র সেওয়াগের ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত। দুই, মর্নি মরকেলের মত টুর্নামেন্টের সবথেকে ছন্দে থাকা বোলারকে বসিয়ে রেখে দিল্লির প্রথম একাদশ তৈরি।
এরপর ম্যাচে রীতিমত একপেশে খেলে চেন্নাইয়ের জয়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে টুর্নামেন্টের গোড়া থেকে খারাপ খেলেও চেন্নাই কী করে ফাইনালে পৌঁছে গেল? তাহলে কি বোর্ড সভাপতি শ্রীনিবাসন আগে থেকেই নিজের দলের জন্য ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন? নাকি আইপিএলের গোটা ব্যাপারটার মধ্যেই গড়াপেটার বিষয়টি জড়িয়ে আছে? চেন্নাইয়ে উপস্থিত বোর্ড কর্তারা এর সদুত্তর দিতে পারেননি। এর থেকেই বোঝা যায় গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বেশ চাপে। তার উপর সোস্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রিকেট অনুরাগীরা আইপিএলের গড়াপেটার বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রচারও করেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের অন্দরমহলে গুঞ্জনও শুরু হয়েছে।
এর ওপর শ্রীনিবাসনের কর্মকান্ডে খুশি নন বোর্ডের অনেক কর্তাই। তবে তাঁরা এই মূহুর্তে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাইছেন না।তাঁরা শুধু জানিয়েছেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর যা বলার বলবে বিসিসিআই। সবমিলিয়ে পঞ্চম আইপিএল নিয়ে স্বস্তিতে নেই বোর্ড সভাপতি শ্রীনিবাসন থেকে শুরু করে সব বোর্ড কর্তাই।