রাহুলের বিতর্কিত স্টাম্পিং, লিটন দাসের আউট টেনে আনল বাংলাদেশী মিডিয়া
নিয়ম মেনে সেদিন লিটন দাসকে যথার্থ আউট দিয়েছিলেন আম্পায়াররা।
নিজস্ব প্রতিনিধি : সেদিন যদি লিটন দাস থাকতেন...। এখনও সেই আক্ষেপ গেল না বাংলাদেশী ক্রিকেট সমর্থকদের। ওপার বাংলার সমর্থকদের মতো সংবাদমাধ্যমও এখনও বিশ্বাস করে, সেদিন কোনওভাবেই আউট ছিলেন না লিটন দাস। সেদিন বলতে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে। ১১৭ বলে ১২১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু কুলদীপ যাদবের একখানা ভেলকি বুঝতে পারেননি। অগত্যা ধোনির হাতে স্টাম্পিং। তার পর থেকে সেই আউট নিয়ে বিতর্কে শুরু। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, লিটন দাসের পায়ের সামনের অংশ মার্জিন লাইনের ঠিক উপরে রয়েছে। তার পর আউট দেন আম্পায়ার। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে সেই আউটের ভিডিও দেখার পর লিটন দাসকে সেদিন আউটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আম্পায়াররা। কিন্তু তার পর থেকেই রাগে ফুঁসতে থাকেন বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা। এমনকী, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমও আইসিসির বিরুদ্ধে নাগাড়ে লিখতে থাকে।
আরও পড়ুন- কোটলায় আগুন ঝরালেন শচীন-পুত্র, পাঁচ শিকার অর্জুনের
আইসিসি অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নিয়ম মোতাবেক লিটন দাস আউট ছিলেন। আইসিসির আইনের ৩০.১.১ ধারায় স্পষ্ট বলা রয়েছে, ব্যাটসম্যান বা তাঁর ব্যাট পপিং ক্রিজের বাইরে অবস্থান করলে, তাঁর শরীর কিংবা ব্যাটের কোনো অংশ পপিং ক্রিজের মাটি স্পর্শ করতে হবে। না হলে তাঁকে আউট দেওয়া হবে। এই নিয়ম মেনে সেদিন লিটন দাসকে যথার্থ আউট দিয়েছিলেন আম্পায়াররা। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত পড়শি দেশের কেউই মেনে নিতে পারেননি। এমনকী, তাঁরা বিসিসিআই ও আইসিসির গোপন আঁতাতের অভিযোগও তুলেছিলেন। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ তে ভারতের কে এল রাহুল স্টাম্প আউট হওয়ার পর লিটন দাসের আউটের স্মৃতি উস্কে উঠল বাংলাদেশের সমর্থকদের মস্তিষ্কে। লাইন বল স্টাম্পিং হলেন রাহুল। তবে এই আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। আর সেই বিতর্কে ঘি ঢেলে গেল বাংলাদেশের মিডিয়া। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি পোল তৈরি করেছে। সেখানে অনেকেই বলেছেন, রাহুল নট-আউট ছিলেন। এদিকে বাংলাদেশ মিডিয়ার একাংশ দাবি করেছে, রাহুল আউট না হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে আউট দেওয়া হয়েছে। এবং এই প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সরব হয়ে না ওঠায় তাঁরা আশ্চর্য প্রকাশ করেছে।
It doesn't get much closer than that! #CloseMatters#AUSvIND @GilletteAU pic.twitter.com/9R6smFMpTA
— cricket.com.au (@cricketcomau) November 21, 2018