ভারতের আপত্তি উড়িয়ে লন্ডন অলিম্পিকের স্পনসর ডাও কেমিক্যালস

নয়াদিল্লির আপত্তি নস্যাত্‍ করে লন্ডন অলিম্পিকের মূল স্পনসর হিসেবে ভোপাল গ্যাসকাণ্ড-কলঙ্কিত ডাও কেমিক্যালস`কেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। সংস্থার প্রধান জ্যাকোয়েস রোগে ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বিজয় কুমার মালহোত্রাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন এ কথা।

Updated By: Feb 16, 2012, 04:05 PM IST

নয়াদিল্লির আপত্তি নস্যাত্‍ করে লন্ডন অলিম্পিকের মূল স্পনসর হিসেবে ভোপাল গ্যাসকাণ্ড-কলঙ্কিত ডাও কেমিক্যালস'কেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। সংস্থার প্রধান জ্যাকোয়েস রোগে ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বিজয় কুমার মালহোত্রাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন এ কথা।
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা কাণ্ডের কলঙ্কিত সংস্থা ডাও কেলিক্যালস'কে লন্ডন অলিম্পিকের স্পনসর করা নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সরকারিভাবে আপত্তি তুলেছিল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের প্রস্তাব মেনে ৫ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে একটি চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং লন্ডন অলিম্পিকের আয়োজক সংস্থার কাছে এ বিষয়ে আপত্তি জানানোর কথা বলা হয় ওই চিঠিতে। এর পর ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা এবং লন্ডন অলিম্পিক আয়োজক কমিটির কাছে ডাও-এর বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়।  
কিন্তু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার যুক্তি, ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন দশক। ২০০০ সাল থেকেই অভিযুক্ত সংস্থা ইউনিয়ন কার্বাইড-এ ডাও কেমিক্যালসের কোনও মালিকানা নেই। তাই ভোপাল-কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির জন্য সমবেদনা প্রকাশ করা এবং ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির আপত্তিকে সাধুবাদ জানালেও ডাও-এর হাত ছাড়তে নারাজ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা এবং লন্ডন গেমস আয়োজক কমিটি। জ্যাকোয়েসের দাবি, ডাও কেমিক্যালস'কে লন্ডন অলিম্পিকের স্পনসর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বিতর্কের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ডাও কেমিক্যালসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ৩০ বছরের সম্পর্কের কথাও উল্লিখত হয়েছে চিঠিতে।

১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ভোপালে ডাও কেমিক্যালসের মালিকানাধীন ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানায় রক্ষণাবেক্ষণ জনিত গাফিলতির কারণে 'মিক' গ্যাস লিক করে। এর ফলে সরকারি হিসেবে ২,২৫৯ জনের মৃত্যু হয়। বিকলাঙ্গ হয়ে যান কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু বরাবরই ঘটনার দায় এড়িয়ে গিয়েছে ডাও কর্তৃপক্ষ। গত শনিবারও সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দিয়ে ডাও কেমিক্যালস জানিয়েছে তারা আর কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি নয়। ১৯৮৭ সালে ওই দুর্ঘটনার জন্য ৪৭ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল ডাও কেমিক্যালসের নিয়ন্ত্রণাধীন ইউনিয়ন কার্বাইড। যা প্রকৃত ক্ষতির তুলনায় যত্‍সামান্য।

.