Wasim Akram, IND vs PAK: 'মাদার অফ অল ব্যাটল'-এর আগে বেজায় চটে মেজাজ হারালেন আক্রম! কিন্তু কেন? ভিডিয়ো দেখুন
Wasim Akram, IND vs PAK: দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে বাইশ গজের যুদ্ধের প্রসঙ্গ এলে, ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের কথা আসবেই। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৩৯ রানে হারিয়েছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২৩ অক্টোবর টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বিরুদ্ধে মর্যাদার ম্যাচে মাঠে নামবে পাকিস্তান (Pakistan)। এর আগে মেজাজ হারালেন ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram)। কিন্তু কেন? বাবর আজমদের (Babar Azam) উদবুদ্ধ করতে দেশের প্রাক্তন অধিনায়কের মাথা গরম করার অবশ্য কারণ আছে। আসলে ১৯৯৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। চোটের জন্য সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পারেননি 'সুলতান অফ সুইং'। সেইজন্য তাঁকে ২৬ বছর পরেও কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে। সেটাই মেনে নিতে পারলেন না সর্বকালের সেরা এই প্রাক্তন বাঁহাতি জোরে বোলার। তিনি বেজায় চটে গেলেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে বাইশ গজের যুদ্ধের প্রসঙ্গ এলে, ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের কথা আসবেই। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৩৯ রানে হারিয়েছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত। সেই ম্যাচে ভেঙ্কটেশ প্রসাদ এবং পাক ওপেনার আমির সোহেলের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল। তবে সেই ম্যাচ আক্রম খেলেলনি।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
দীর্ঘ ২৬ বছর পর আক্রমকে সেই ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর ক্ষোভ ছিল দেখার মতো। তিনি মেজাজ হারিয়ে বলেন, 'আজ তরুণ প্রজন্মকে ঠাণ্ডা করার সময় এসেছে। আমি অনেক তরুণকে বলেছি গুজবে বিশ্বাস করবেন না। সেই সময় তোমাদের অনেকের জন্মও হয়নি। এটা খুবই লজ্জাজনক যখন একজন পাকিস্তানি আমাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে!'
— Gabbbar (@GabbbarSingh) October 20, 2022
'সুলতান অফ সুইং' আরও বলেন, 'কোয়ার্টার ফাইনালের তিন দিন আগে আমি আহত হয়েছিলাম। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৪ রান করেছিলাম। সেই ম্যাচে ডিওন ন্যাশের বলে সুইপ শট দিতে গেলে বলটা আমার বুকে এসে লেগে ছিল। সেই চোট সারাতে ছয় সপ্তাহ সময় লেগেছিল। ওয়াকার এখানে বসে আছে। আমরা ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে আমরা সাংবাদিক সম্মেলনে আমার চোটের কথা এড়িয়ে গিয়েছিলাম, যাতে ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাস না বেড়ে যায়। আমি চাইনি যে ভারত জানুক যে আমাদের প্রধান ক্রিকেটার চোটে কাবু হয়ে গিয়েছে। ম্যাচের দিন সকালেও ওয়াকার আমার চোটের জায়গা দেখল। সবাই দেখল আমি ছ'টা পেইন কিলার ইনজেকশন দিয়েছি,কিন্তু কাজ হয়নি।’
ওয়াসিম আক্রম আরও বলেছেন,‘আমি যদি একই ইনজুরিতে খেলতাম, পুরো ১০ ওভার না করতাম,তাহলে ও আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা হত। তাহলে কি বাকি ইয়ারা সেখানে ছোলা বিক্রি করতে গিয়েছিল?’
ওয়াসিম আক্রম না খেললে পাকিস্তান ম্যাচ হেরে যায়। এরই ফাঁকে ওয়াকার বলেন, 'আপনার জায়গায় আতাউর রহমান খেলেছিলেন। আর সে খুব ভালো বোলিং করেছিল।' সেই ম্যাচে আতাউর ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে সচিন তেন্ডুলকরের উইকেট নেন। সেই মেগা ম্যাচে পাকিস্তানের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর না খেলা নিয়ে অনেক কটাক্ষ হজম করতে হয়েছে। এবার সেই প্রশ্ন শুনে আবার মেজাজ হারালেন তিনি।