সিডনির সেমিতে থাকছে প্রতিশোধ-পাল্টা প্রতিশোধের হিসাবনিকাশও
হাই ভোল্টেজ বললেও কম বলা হয়। সিডনি ম্যাচ আদপে বিশ্বকাপের অঘোষিত ফাইনাল।
ওয়েব ডেস্ক: হাই ভোল্টেজ বললেও কম বলা হয়। সিডনি ম্যাচ আদপে বিশ্বকাপের অঘোষিত ফাইনাল।
২০০৩। দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডার্সে মহারাজের দল ভারত বনাম পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বজয়ের সিঁড়িতে সব কটি ধাপ পেরিয়ে হঠাৎ যেন সাপের মুখে পরে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল ভারতকে। ২০১১ সালে শাপমোচন হয়েছিল ভারতের। ধোনি, যুবরাজরা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আমেদাবাদের মোতেরায় অসিদের পরাস্ত করে সেমিফাইনালে পৌঁছায়। তারপর আবার ইতিহাস। ১৯৮৩-র কপিল দেবের অধিনায়কত্বে লর্ডসে বিশ্বজয়ের পর ২৮ বছরের মাথায় ২০১১ তে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।
২০১৫ তে আবার মুখোমুখি হতে চলেছে দুই যুযুধান। আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া সমর্থন বনাম এখনও পর্যন্ত অপরাজিত(বিশ্বকাপ ২০১৫) টিম ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাস। পিচে সবুজ ঘাস নিয়ে ইতিমধ্যেই পারদ চরছে সিডনিতে। বোলিংয়ে ভারতের প্রধান অস্ত্র সামি, উমেশদের পেসের সঙ্গে অস্বিনের ঘূর্নি। অতিরিক্ত হিসেবে স্যার জাদেজার আর্ম বোলিং। অন্যদিকে বাঁহাতি পেস আক্রমণের কাণ্ডারি স্টার্ক ও জনসন ভারত ম্যাচের আগে ফুঁসছেন। ব্যাটিং ভারতের ওপেনিং জুটি যেভাবে সফল ঠিক সমান তালেই রয়েছে ওয়ার্নার-ফ্রিঞ্চ জুটি। বিরাটের সঙ্গে রায়না, রাহানেরা যেভাবে ভারতের ব্যাটিং কমান্ড সামলাচ্ছনে অন্যদিকে আস্ট্রেলিয়ার ম্যাক্সওয়েল, স্মিথরা দূর্দান্ত ফর্মে। ধারে ও ভারে সমান রয়েছেন দুই দলই।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা কে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। সিডনি ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে কিউইদের সাথে। ফাইনাল হবে মেলবোর্নে। কিউইরা এখনও পর্যন্ত ঘরের বাইরে সফল হয়নি। কিউই কান্ডিশনে টিম ম্যাককালামরা এগিয়ে থাকলেও মেলবোর্নে এগিয়ে থাকবে সিডনির বিজয়ী দল।