সুপার কাপে না খেলার সিদ্ধান্ত নিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান?
আই লিগ চলাকালীন ১৮ ফেব্রুয়ারি আই লিগকে বাঁচাতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চেন্নাই সিটি এফসি, মিনার্ভা পঞ্জাব এফসি, চার্চিল ব্রাদার্স, নেরোকা এফসি, গোকুলাম কেরালা, আইজল এফসি সহ আই লিগের আটটি ক্লাব চিঠি দেয় ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান-সহ আই লিগের ৭টি ক্লাবের জোট। আই লিগের ক্লাবগুলির প্রতি এআইএফএফ-র বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছে তারা। এরই প্রতিবাদে সুপার কাপ থেকে নাম তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মিনার্ভা পাঞ্জাব এফসি-সহ মোট সাতটি ক্লাব।
আই লিগ চলাকালীন ১৮ ফেব্রুয়ারি আই লিগকে বাঁচাতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চেন্নাই সিটি এফসি, মিনার্ভা পঞ্জাব এফসি, চার্চিল ব্রাদার্স, নেরোকা এফসি, গোকুলাম কেরালা, আইজল এফসি সহ আই লিগের আটটি ক্লাব চিঠি দেয় ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে। এমনকি ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করার জন্য সময়ও চেয়ে নেয় তারা। কলকাতার দুই প্রধান প্রথমেই জানিয়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিয়ে তারা আইএসএলে খেলবে না। আই লিগ-আইএসএল দুই লিগ মিলিয়ে একটা লিগ করার জন্য একসঙ্গে সওয়াল করে আই লিগের আটটি ক্লাব। যেখানে থাকবে প্রমোশন এবং রেলিগেশন। প্রয়োজনে চুক্তির বিষয়টি দেখে নিয়ে আইএসএল ক্লাবগুলির রেলিগেশনেও ছাড় দিতে রাজি আই লিগের ক্লাবজোট। তবে কিছুতেই আই লিগ ক্লাবগুলিকে দ্বিতীয় ডিভিশনে নামিয়ে দেওয়া যাবে না। ফেডারেশনের মার্কেটিং পার্টনারের ভারতীয় ফুটবলে অন্যায় হস্তক্ষেপ নিয়েও সরব হয়েছে আই লিগ ক্লাব জোট। কেন একটি প্রাইভেট সংস্থা দেশের এক নম্বর লিগ পরিচালনা করবে সে নিয়েও জোটবদ্ধ তাঁরা।
প্রফুল প্যাটেলের সঙ্গে আই লিগ-আইএসএল নিয়ে জট কাটাতে সরাসরি কথা বলতে চায় তারা। কিন্তু, এআইএফএফ সভাপতির জবাবি মেল এখনও আসেনি। পাশাপাশি এই নক আউট প্রতিযোগিতায় খেলে এএফসি-র কোনও প্রতিযোগিতায় খেলার ছাড়পত্র মেলে না। শুধু তাই নয় এই প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য যাবতীয় খরচা ক্লাবগুলিকেই বহন করতে হয়। আর সেই কারণেই সুপার কাপ থেকে নাম তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ৭টি ক্লাব। তবে এই দলে নেই রিয়াল কাশ্মীর, চার্চিল ব্রাদার্স এবং শিলং লাজং এফসি।
আরও পড়ুন- IND vs AUS: দিল্লিতে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে ভারতের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ