Wrestlers Protest: 'স্বামী-সহ আমাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস'! বিস্ফোরক গীতা ফোগাট
Delhi Police Arrested Me And My Husband Says Wrestler Geeta Phogat: দিল্লি পুলিস গ্রেফতার করেছেন তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে। এমনটাই অভিযোগ কুস্তিগির গীতা ফোগাটের। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট তিন মহিলা কুস্তিগিরের আনা পিটিশন বন্ধ করল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যন্তর মন্তরে বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের (Wrestlers Protest At Jantar Mantar) সঙ্গে দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) বচসা এবং রীতিমতো হাতাহাতি হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে মত্ত পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে অভব্যতা ও গালিগালাজ করারও অভিযোগ এনেছেন কুস্তিগিররা। এরকম ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ট্যুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat)। তিনি সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik) ও বজরং পুনিয়াদের (Bajrang Punia) সঙ্গে আন্দোলন করছেন যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত জাতীয় কুস্তি সংস্থার (Wrestling Federation of India) সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) গ্রেফতারের দাবিতে। ভিনেশের তুতো বোন ও দেশের আরেক তারকা কুস্তিগির গীতা ফোগাট (Geeta Phogat)।
বৃহস্পতিবার গীতা যন্তর মন্তরে আসতে চেয়েছিলেন বোনেদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য়। গীতা আসার খবর পাওয়ার পরেই দিল্লি পুলিস তাঁকে ও তাঁর স্বামী পবন সরোহাকে (Pawan Saroha) রাস্তায় থামিয়ে, গ্রেফতার করেছে! এমনই বিস্ফোরক ট্যুইট করেছেন গীতা! যদিও গীতার অভিযোগ উড়িয়ে, দিল্লি পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, গীতা-পবনকে প্রতিরোধমূলক হেফাজতে (preventive custody) রাখা হয়েছে। গীতা লিখেছেন, 'দিল্লি পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতা। আমাকে যন্তর মন্তরে ভাইবোনদের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পুলিস বলেছিল, আমার কাছে দু'টি রাস্তা আছে, হয় আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে নয় থানায় যেতে হবে। অত্যন্ত নিন্দনীয়।
অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ কুস্তিগীরদের পক্ষে ৩২ ধারার অধীনে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে। সেখানে বলা হয়েছিল ডব্লিউএফআই সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত দেরি হয়েছে। এমনকী ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে শুধুই যৌন হেনস্থা নয়, পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনেও অভিযোগ রয়েছে। কুস্তিগিররা এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম রায়ে এবার কুস্তিগিরদের জোড়া এফআইআর জমা নিয়েছে দিল্লি পুলিস। অন্যদিকে এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার তিন সদস্যের বেঞ্চ, দেশের তিন মহিলা আন্তর্জাতিক কুস্তিগিরের দায়ের করা পিটিশন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়েরও করেছে এবং কুস্তিগিরদের যথেষ্ট নিরাপত্তাও প্রদান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট কুস্তিগিরদের প্রতিনিধিত্বকারী কৌঁসুলিকে জানিয়ে দিয়েছে যে, এরপরেও কুস্তিগিরদের অভিযোগ থাকলে তাঁরা উচ্চ আদালত বা বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হতে পারেন।