তিনি কাঁদলেন, তিনি কাঁদালেন!

ইতিহাসে নাম লেখানো এই ক্রোটদের পিঠ চাপড়ে দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি লিখলেন, “অবর্ণনীয়। তোমাদের মধ্যে আগুন আছে। তোমরা সাহসী। সিংহের সঙ্গে লড়াই করে ইতিহাস তৈরি করেছ। আমরা তোমাদের জন্য গর্বিত”।   

Updated By: Jul 16, 2018, 11:45 AM IST
তিনি কাঁদলেন, তিনি কাঁদালেন!

নিজস্ব প্রতিবেদন: খেলা হচ্ছে ফুটবল, অথচ সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছে  বছর পঞ্চাশের এক ‘তন্বী’কে নিয়ে! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। টুইটার থেকে ফেসবুক, ইউটিউব থেকে ইনস্টাগ্রাম- রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চর্চিত চরিত্রের নাম কোলিন্দে গ্রাবার-কিটরোভিচ।

আরও পড়ুন- রাশিয়ার শেষ কাতারের শুরু ...

ইনি ক্রোয়োশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। বলতে পারেন তিনিই লুকা মাদ্রিচ, পেরিসিচ, রাকিতিচদের ‘অভিভাবক’। রাশিয়ায় ছেলেদের এক একটা জয় যেভাবে সেলিব্রেট করেছেন তাতে প্রতি বারই মনে হয়েছে, যেন  ‘বিশ্বকাপ জিতেছেন’। মাঠে যখনই এসেছেন, পরনে ছিল দাবার ছকের মতো লাল-সাদা রঙের জার্সি। ভিআইপি বক্স থেকে দেখেছেন ক্রোটদের প্রতি আক্রমণ। আর যে বার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালের পথ প্রশস্ত করল তাঁর দেশ, সে বার তো সব প্রোটোকল ভেঙে একেবারে ড্রেসিং রুমেই হাজির হয়েছিলেন। তারপর সে কী নাচ! উ-ফ-ফ! গান গাইছেন, নাচছেন, ছবি তুলছেন। আর সেইসব সুখস্মৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই একেবারে তা দাবানলের আকার নেয়।

আরও পড়ুন- ২০ বছর পর ফের বিশ্বজয়ী দেশঁর ফ্রান্স

রবিবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামেও স্বমহিমায় দেখা গেল ক্রোয়োশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে। তবে শেষটা আশানুরূপ হল না। হাফ ডজন ম্যাচ জিতে সাত নম্বরে এসে হারল ক্রোয়েশিয়া। স্বপ্নের ফাইনালেই স্বপ্নভঙ্গ হল ক্রোটদের। ৪-২-এ পরাজয়। জিতল ফ্রান্সই। নতুন চ্যাম্পিয়ন থেকে বঞ্চিত ফুটবল বিশ্ব। চোখ ছলছল লাল-সাদা সমর্থকদের। এ তো কাছে এসেও ধরা গেল না। কেবল একটা চুমুই ছুঁয়ে গেল বিশ্বকাপের গায়ে। সেটাও ক্রোয়োশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের।

আরও পড়ুন- ‘ফরাসি বিপ্লবে’ নাচলেন ম্যাক্রোঁ, টুইটে লিখলেন ‘মার্সি’!

ভিকট্রি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ‘সোনার ছেলে’ মদ্রিচকে জড়িয়ে এই প্রথম কাঁদতে দেখা গেল তাঁকে। তবে ‘ছেলে’র হাত ছাড়েননি কোলিন্দে গ্রাবার-কিটরোভিচ। ইতিহাসে নাম লেখানো এই ক্রোটদের পিঠ চাপড়ে দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি লিখলেন, “অবর্ণনীয়। তোমাদের মধ্যে আগুন আছে। তোমরা সাহসী। সিংহের সঙ্গে লড়াই করে ইতিহাস তৈরি করেছ। আমরা তোমাদের জন্য গর্বিত”।   

   

 

 

 

 

.