আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ক্যানসার জয়ী বিশ্বকাপার যুবরাজ
২০০০ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু যুবরাজের। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে তাঁর ৬৯ রানের ইনিংস এখন ক্রিকেটপ্রেমীর স্মৃতিতে উজ্বল হয়ে রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বকাপের মাঝেই অবসরের ঘোষণা ২০১১ সালের বিশ্বকাপার যুবরাজ সিং। হার মানতে শেখেননি। ক্যানসারের সঙ্গে যুঝেও ফের ২২ গজে ফিরে এসেছেন তিনি। সোমবার মুম্বইয়ে অবসর ঘোষণা করার সময় যুবরাজ বলেন, “২২ গজে ২৫ বছর এবং একদিনের ক্রিকেটে প্রায় ১৭ বছর কাটানোর পর অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। অনেক কিছু শিখিয়েছে ক্রিকেট। কীভাবে লড়তে হয়, কীভাবে পড়তে হয়, আবার ধুলো মেখে কীভাবে ফের উঠে দাঁড়াতে হয়, তা শিখেয়েছে ক্রিকেট।”
যুবরাজ তাঁর আবেগঘন বক্তৃতায় বলেন, “সত্যিই ভাগ্যবান। দেশের হয়ে ৪০০ টি ম্যাচ খেলেছি। যখন প্রথম খেলা শুরু করি, ভাবতে পারিনি এভাবে শেষ করবো।” ক্রিকেট তাঁর জীবনে কী, তা ভাষায় ব্যক্ত করতে পারবেন না বলে জানান যুবরাজ। তিনি বলেন, “সাফল্যের থেকে ব্যর্থই বেশি বার হয়েছি। কিন্তু কখনও হাল ছাড়িনি।” কথার গন্ডিতেই কিন্তু যুবরাজ সীমাবদ্ধ নন, সত্যি তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার বর্ণময়।
আরও পড়ুন- ICC World Cup 2019: ওভালে অজি বধ! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় টিম ইন্ডিয়ার
২০০০ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু যুবরাজের। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে তাঁর ৬৯ রানের ইনিংস এখনও ক্রিকেটপ্রেমীর স্মৃতিতে উজ্বল হয়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি২০ বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় বলে ছয়টি ছয় মেরে ইংল্যান্ডের রাতের ঘুম কেড়েছিলেন যুবরাজ। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে বিশ্বকাপে যুবরাজ সিংয়ের অবদান ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন ক্যানসার জয়ী যুবরাজ সিং।
এক নজরে তাঁর কেরিয়ার
টেস্ট-
ম্যাচ- ৪০ || রান- ১৯০০ || সর্বোচ্চ- ১৬৯ || শতরান- ৩
ওয়ান ডে-
ম্যাচ- ৩০৪ || রান- ৮৭০১ || সর্বোচ্চ- ১৫০ || শতরান- ১৪ || উইকেট- ১১১