লিটন আউট না নটআউট, কী বলছে ভিডিও?
তড়িত্ গতিতে লিটন দাসের উইকেট তুললেন ধোনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তড়িতের চেয়েও দ্রুতগামী মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত। শুক্রবার এশিয়া কাপের ফাইনালে চোখের পলক ফেলার আগেই লিটন দাসকে স্টাম্পিং করলেন মাহি। আর তাতেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশের আড়াইশো রান তোলার স্বপ্ন। ২২২ রানেই থমকে গেল মাশরাফিদের ইনিংস। ধোনির এই স্টাম্পিং নিয়ে অবশ্য বিতর্ক দেখা গিয়েছে। লিটনকে অবৈধভাবে আউট দেওয়া হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তরা।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে একমাত্র রুপোলি রেখা লিটন দাস। দীপাবলির আতসবাজি জ্বালালেন নিজের ব্যাটিংয়ে। ৩২ বলেই অর্ধ শতরান পূরণ করলেন তিনি। তবে মাঝে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামার জেরে ধরে খেলতে হল লিটনকে। নিজের প্রথম শতরান পূর্ণ করেন এই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। তারপর ধীরে ধীরে স্কোরকে আড়াইশোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু কুলদীপ যাদবের একটি গুগলিতে পরাস্ত হন লিটন। পিছন থেকে মাত্র এক তৃতীয়াংশ সেকেন্ড তাঁকে স্টাম্পিং করেন ধোনি। এই আউটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরজা শুরু করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা। পাল্টা স্ক্রিনশট সাঁটছেন ভারতীয়রা। আরও একবার দেখা যাক রিপ্লে। রিপ্লেতে পিছন থেকে যদি দেখেন, তাহলে দেখতে পাবেন, লিটনের পা হাওয়ায় ছিল। উইকেটের পিছন থেকে দেখলে তা ক্রমেই স্পষ্ট। আরও একবার দেখুন রিপ্লে-
— Kabali of Cricket (@KabaliOf) September 28, 2018
অন দ্য লাইন থাকলে কি আউট? কোরা বলছে, আইসিসির ৩৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, অন দ্য লাইন থাকলে আউট দেওয়া হবে ব্যাটসম্যানকে। এক্ষেত্রে তাই অন দ্য লাইনের যুক্তি খাটছে না।
এবার আসি ধোনির রেকর্ডের প্রসঙ্গে। উইকেটের পিছনে থেকে আটশোটি শিকার করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর কোনও উইকেটকিপারের এই নজির নেই। তড়িত্গতির স্টাম্পিংয়ের পরই শুরু হয়ে গিয়েছে ধোনিবন্দনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
This is M.S.Dhoni...girls are happy , everyone is happy! except Bangladesh! Lightning in Dubai... @seemantlohani & @mihir_diwakar sir are you enjoying in Dubai? #MSDhoni #INDvBAN #AsiaCupfinal pic.twitter.com/gT95zEDU0W
— Arnab Singh Dhoni (@onlyformsdhoni) September 28, 2018
চলতি এশিয়া কাপে প্রতিটি ম্যাচেই নিয়ম করে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু ফাইনালে একেবারে অন্যরকম শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গে নেমেছিলেন নীচের সারির মেহেদি হাসান। শুরু থেকেই ধ্বংসাত্নক ব্যাটিং করলেন লিটন। বুমরা ও ভুবনেশ্বর কুমারকে বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা খেলতে হিমশিম খেয়েছেন। সেখানে লিটনের মারের চোটে স্পিনার আনতে বাধ্য হলেন রোহিত শর্মা। তাতেও থামলেন না লিটন। মাত্র ৩২ বলে এল অর্ধ শতরান। অন্যদিকে ধীরেসুস্থে খেলে চলেছেন মেহেদি হাসান। লিটন-মেহেদি জুটিতে উঠল ১২০ রান। ৫৯ রানে ৩২ করে আউট হলেন মেহেদি। প্রথম ব্রেক থ্রু দিলেন কেদার যাদব। যদিও ওই শটটি খেলার দরকার ছিল না। এরপর আসা-যাওয়া। ওপেনিংয়ের ভাল শুরুর মঞ্চকে কাজে লাগাতে পারলেন না মুশফিকুররা। একে একে ফিরলেন ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মহম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহরা। অন্যদিকে তখনও একা কুম্ভ লিটন। তাঁর ব্যাট থেকে এল ঝকঝকে শতরান। ১১৭ বলে ১২১ করলেন এই বাঙালি ব্যাটসম্যান। এটি তাঁর কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। পরপর উইকেট হারিয়ে ২২২ রানে থমকে গেল টাইগাররা।
আরও পড়ুন- পেট্রোল-ডিজেলের খরচ কমাতে গাড়ির ইঞ্জিন বদলের পরিকল্পনা মোদী সরকারের