RG Kar Incident Verdict: আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই বিস্ফোরক সঞ্জয়! 'আইপিএস অফিসার', 'রুদ্রাক্ষ'...এসব কী বলছে সে?

RG Kar Incident Verdict: আগেও সঞ্জয় নানা কথা বলেছে। সে বলেছে, আরজি কর সেমিনার রুমে ঢুকেই সেদিন সে উল্টো দিকে দৌড় মেরেছিল! কখনও সে সেদিন যা যা করেছিল, ভয়ংকর সেই ঘটনার অনুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছিল গোয়েন্দাদের কাছে। আজও সে নানা কথা বলল! তা হলে?

| Jan 18, 2025, 16:07 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে রায়দান হল আরজি কর কাণ্ডে। পাঁচ মাসের বেশি বা ১৬২ দিনের মাথায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হল। আরজি কর কাণ্ডের তদন্তকারী থেকে মনস্তত্ত্ববিদ-- সকলে একটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, ধৃত সঞ্জয় বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত। চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে অপরাধবিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে, 'সেক্সুয়ালি পারভারটেড'। সিবিআইও জানিয়েছিল, সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের গোটা পর্বেই সে ছিল আবেগশূন্য, অনুশোচনার বিন্দুমাত্রও তার মধ্যে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, ঘৃণ্য এই অপরাধের বর্ণনা সে নিজেই দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে সঞ্জয় দাবি করেছে, তার কথা শোনা হচ্ছে না, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে! আর এরই মধ্যে আজ, শনিবার ছিল তার রায়দান। সেখানেও সে বলল নানা কথা।

1/7

কী রায় দেওয়া হল?

আরজি করে অভয়ার খুন ও ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস এই রায় দিলেন। শনিবার দুপুর ২টো ৪৪ মিনিটে কাঠগড়ায় নিয়ে আসা হয়েছিল সঞ্জয়কে। 

2/7

ক্রন্দনরত মা-বাবা

রায়দানের পরে সকলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ করে অভয়ার পরিবার। তাঁর মা-বাবা। তাঁরা কাঁদতে-কাঁদতে বিচারককে বলেন, আপনার উপর ভরসা রেখেছিলাম, তার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন, আপনাকে ধন্যবাদ!

3/7

সোমে সাজা

এখনও সাজা ঘোষণা করা হয়নি সঞ্জয়ের। সে দোষী সাব্যস্ত হল। এবার তাকে সাজা শোনানো হবে। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সাজা নিয়ে শুনানি। 

4/7

কাঠগড়ায় সঞ্জয়

কিন্তু এদিকে, দোষী সাব্যস্ত হয়েই সঞ্জয় সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলতে আরম্ভ করেছে। রায় শোনার পর সে কোর্টে কার্যত চিৎকার করতে থাকে। একরকম জোর করেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

5/7

কারা দোষী?

তবে তার মধ্যেই বিস্ফোরক সব কথা বলতে-বলতে যায় সঞ্জয়। সে বলে, 'আমি এই কাজ করিনি! আমি গরিব। যাঁরা দোষী তাঁদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল? এক আইপিএস অফিসার আমাকে সব বলেছে!'

6/7

রুদ্রাক্ষ!

শুধু তাই নয়, রায় শুনেই সে সব চেয়ে চমকদার কথাটা বলে। সঞ্জয় বলে, 'আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে, আমি এসব করলে সেটা ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যেত! আমাকে ফাঁসানো হয়েছে!'

7/7

বিচারের বাণী!

তবে এতে কেউই বিচলিত হয়নি। বিচারক সঞ্জয়কে উদ্দেশ্য করে জানান, সিবিআই যে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়েছে (সঞ্জয়ের অপরাধকর্মের পক্ষে), তাতে এটা (সঞ্জয়ের কুকর্ম) প্রমাণিত!