Delhi Murder: দেওয়ালে প্রস্রাব, যুবককে কুপিয়ে খুন রাস্তার উপরই!
Delhi Murder: সবার চোখের সামনেই ঘটে যায় রক্তারক্তি কাণ্ড। ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তে তা ভাইরালও হয়ে যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেওয়ালে প্রস্রাব করাকে কেন্দ্র করে বচসা, আর তাই থেকেই খুনোখুনি কাণ্ড ঘটে গেল রাজধানীর রাস্তায়। ২৫ বছরের এক যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম মায়াঙ্ক। ২৫ বছরের মায়াঙ্ক হোটেল ম্যানেজমেন্টের পড়ুয়া। এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে পুলিস। দক্ষিণ দিল্লির মালব্য নগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মালব্য নগরের ডিডিএ বাজার এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় ভিড়ের মধ্যেই মায়াঙ্ককে কুপিয়ে খুন করে ৪ জন। একের পর এক ছুরি দিয়ে আঘাত। আর তাতেই রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মায়াঙ্ক। পুলিস জানিয়েছে, বচসার সূত্রপাত হয় দেওয়ালে প্রস্রাব করাকে কেন্দ্র করে। আর তা থেকেই শুরু বচসার। সেই বচসা-ই গড়ায় হাতাহাতিতে। আর তারপরই খুন!
জানা গিয়েছে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া মায়াঙ্কের সঙ্গে প্রথমে বচসা বাধে এক অভিযুক্তের মায়ের। দেওয়ালে প্রস্রাব করার প্রতিবাদ জানান তিনি। তারপরই শুরু হয় দুজনের মধ্য়ে কথা কাটাকাটি। এমনকি মায়াঙ্ক, মণীশ বলে ওই অভিযুক্তকে থাপ্পড়ও মারে। এরপরই ঘটনা আরও গুরুগম্ভীর হয়ে ওঠে। মণীশ তার বন্ধুদের ডেকে আনে। এরপর সবাই মিলে মায়াঙ্ক ও তার বন্ধু বিকাশকে তাড়া করতে শুরু করে। দক্ষিণ দিল্লির মালব্য নগর এলাকায় ডিডিএ বাজারের কাছে মায়াঙ্ককে ধরে ফেলে মণীশের গ্যাং। আর তারপরই তারা মায়াঙ্ককে কুপিয়ে খুন করে। সবার চোখের সামনেই ঘটে যায় রক্তারক্তি কাণ্ড। মায়াঙ্ককে কুপিয়ে খুনের পর এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় মণীশ ও তার দলবল। ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তে তা ভাইরালও হয়ে যায়।
তারপরই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। রক্তাক্ত মায়াঙ্ককে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিত্সা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মণীশ, রাহুল, আশিস ও সুরজ নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই তাদের শনাক্ত করা হয়। পুলিস প্রথমে রাহুল, আশিস ও সুরজকে গ্রেফতার করে। তারপর প্রধান অভিযুক্ত মণীশ বাওয়ানা থেকে গ্রেফতার করে। জেরায় ৪ জনই খুনের কথা কবুল করে। কী কারণে মায়াঙ্ককে খুন করেছে, তাও কবুল করে ধৃতরা।