কেজরিয়ালদের হয়ে প্রচারে অংশগ্রহনে অসম্মতি আন্নার
সম্পর্কে ফাটলের ইঙ্গিত মিলছিল বেশ কিছু দিন আগে থেকেই। মঙ্গলবার সেই বিরোধিতার পাশে ঘোষিত শীলমোহর লাগালেন আন্না হাজারে। তাঁর সঙ্গে একদা ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরোধ এবার সত্যিই প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন তিনি। দুর্নীতি বিরোধি আন্দোলনের পথ কি হবে এই নিয়ে দু`জনের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এইদিন কেজরিয়ালের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে আন্না জানিয়েছেন তিনি নিজে মোটেও ভোটে প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন না। আন্না বলেছেন `` আমি কেজরিয়ালকে জানিয়ে দিয়েছি তাঁদের নির্বাচিত প্রার্থীকে সমর্থন করতে আমি রাজি আছি, কিন্তু সেই প্রার্থীকে আমি তখনই সমর্থন করব যখন মনে করব সেই প্রার্থী সত্যিই ভাল।``
সম্পর্কে ফাটলের ইঙ্গিত মিলছিল বেশ কিছু দিন আগে থেকেই। মঙ্গলবার সেই বিরোধিতার পাশে ঘোষিত শীলমোহর লাগালেন আন্না হাজারে। তাঁর সঙ্গে একদা ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরোধ এবার সত্যিই প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন তিনি। দুর্নীতি বিরোধি আন্দোলনের পথ কি হবে এই নিয়ে দু`জনের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এইদিন কেজরিয়ালের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে আন্না জানিয়েছেন তিনি নিজে মোটেও ভোটে প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন না। আন্না বলেছেন `` আমি কেজরিয়ালকে জানিয়ে দিয়েছি তাঁদের নির্বাচিত প্রার্থীকে সমর্থন করতে আমি রাজি আছি, কিন্তু সেই প্রার্থীকে আমি তখনই সমর্থন করব যখন মনে করব সেই প্রার্থী সত্যিই ভাল।`` এর সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন কেজরিয়ালদের রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচনে কোন রকম কোন প্রচারে অংশগ্রহণও করবেন না তিনি। আগামী বুধবার আবার আন্নার সঙ্গে কেজরিয়াল এবং `ইন্ডিয়া আগেনস্ট করাপশন` (আইএসি) আন্দোলনের অনান্য সামনের সারির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন এই বর্ষীয়ান সমাজকর্মী।
মঙ্গলবার তাঁর বক্তব্যে আন্না পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যদিও দুর্নীতি প্রসঙ্গে তাঁর এবং কেজরিয়ালদের অবশেষ লক্ষ এক, কিন্তু লড়াইয়ের রাস্তাটা একেবারেই ভিন্ন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে দিল্লির জন্তরমন্তর থেকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল আইএসির তরফ থেকে। মূলত কেজরিয়ালের উদ্যোগেই রাজনীতির ময়দানে সরাসরি অংশগ্রহনের সিদ্ধান্তের পিছনে মূলত কেজরিয়ালেরই উদ্যোগ ছিল বলেও সূত্রের খবরে জানা যায়। কেজরিয়াল ক্যাম্প দাবি করে আইএসির সদস্যদের মধ্যে ৭৬ শতাংশের সমর্থন রয়েছে তাঁদের সঙ্গে। আর এখান থেকেই আন্নার সঙ্গে তাঁর সবচেয়ে বিশ্বস্ত কর্মী কেজরিয়ালের সরাসরি সংঘাতের সূচনা হয়। দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই একে অরাজনৈতিক মোড়কে মুড়ে রাখার জন্য সচেতন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন আন্না। নিজের সেই অরাজনৈতিক ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্যে ৭৬ বছরের এই নেতা রাজনৈতিক দল গঠনের বিরোধিতা করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে দুর্নীতি গ্রস্থ ব্যাক্তিরা যে দলে যোগ দিতে আসবেনা তার নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ভোটে লড়তে গেলে যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন তার যোগানই বা কিভাবে হবে সে নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। এই ঘটনার রেশ ধরেই আইএসির মধ্যেই আন্না ক্যাম্প এবং কেজরিয়াল ক্যাম্পের সরাসরি বিভাজন হয়ে যায়।
মঙ্গলবারও ভোটে না দাঁড়িয়ে `বিকল্প পদ্ধতি`র মাধ্যমে দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন আন্না। কেজরিয়ালদের রাজনৈতিক দল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলেও এই নিয়ে সবার সঙ্গেই কথোপকথনের রাস্তা অবশ্য খুলে রাখছেন আন্না। খুব শীঘ্রই দিল্লিতে আন্দোলনের প্রথম সারির ১০০-১২৫ জনের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে চলেছেন তিনি।