বিপিন রাওয়াতকে আর্মি চিফ হিসাবে নিয়োগ করার কারণ
ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি দেশের আর্মি চিফ হিসাবে লেফট্যান্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে নিয়োগ করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর সেই নিয়োগকে ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কংগ্রেস ও বামেরা দাবি করছে যে, অনেক সিনিয়ার অফিসারকে বাদ দিয়ে বিপিন রাওয়াতকে নিয়োগ করা হয়েছে। এর পিছনে নিশ্চই সরকারের কোনও 'বাধ্যবাধকতা' রয়েছে। বিরোধীরা সরকারের থেকে সেই 'বাধ্যবাধকতা'র কারণটাই জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন- ঠিক কি নিয়ে বিতর্ক
এদিকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির তরফ থেকেও বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু মোদী সরকার কেন জেনারেল বিপিন রাওয়াতকেই প্রধান হিসাবে বেছে নিলেন, সেটা জেনে নিন-
১) আইনত সরকার বাহিনীর যেকোনও পদস্থ অফিসারকে এই পদে নিয়োগ করতে পারে। কিন্তু, রীতি অনুসারে অভিজ্ঞ ও প্রবীন অফিসারদেরই এই পদে নিয়োগ করা হয়ে থাকে। সেদিক থেকে রাওয়াত একজন প্রবীন ও অভিজ্ঞ অফিসার হিসাবেই সুপরিচিত।
২) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী জেনারেল রাওয়াত এই পদের জন্য একেবারে উপযুক্ত সেনা অফিসার। বর্তমানে ভারতীয় সেনার সামনে পাকিস্তান ও চিনের তরফ থেকে যে কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলা করার জন্য রাওয়াতই সেরা ব্যক্তি মনে করছে সরকার।
৩) জেনারেল রাওয়াতের সার্ভিস ট্র্যাক রেকর্ডও খুব ভাল। আর্মি হেড কোয়ার্টার এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে দারুণ সংযোগ স্থাপন করে তিনি অতীতে কাজ করেছেন।
৪) এর আগে জম্মু-কাশ্মীরে '১৯ ডিভিসন'-এর কম্যান্ডিং অফিসার হিসাবে জেনারেল রাওয়াতের সুদক্ষ কাজ সেনা বাহিনীতে সর্বদা প্রশংসিত হয়েছে।
৫) জেনারেল রাওয়াত দেরাদুন মিলিটারি অ্যাকাডেমির তরফে 'সোর্ড অফ অনার' সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
৬) কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনে তিনি দশ বছর হাতে কলমে গ্রাউন্ডে নেমে কাজ করেছেন।
৭) পাকিস্তানের সঙ্গে লাইন অফ কন্ট্রোল এবং চিনের সঙ্গে লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলে কাজ করার বিরল অভিজ্ঞতা রয়েছে এই সেনা অফিসারের।
৮) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, বিগত তিন দশক ধরে জেনারেল রাওয়াত সেনা বাহিনীর বিভিন্ন পদে ও বিভাগে কাজ করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম- ১৯৮৬তে ভারতীয় ইস্টার্ন কম্যান্ডের চিনের মুখোমুখি হওয়া এবং উত্তর-পূর্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা।
৯) একাধিক পেশাদারি যোগ্যতার পাশাপাশি জেনারেল রাওয়াত সিভিল সোসাইটির সঙ্গে ভাল যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বাহিনীর প্রধান হিসাবে যা অত্যন্ত প্রয়োজন।