মন্ত্রী-সেনাপ্রধান বরফ গলার ইঙ্গিত
শনিবারি সরকারবিরোধী জেহাদে ইতি টেনে নিজের `অবস্থান` ব্যাখ্যা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর `অ্যাপয়েন্টমেন্ট` চেয়েছিলেন তিনি। এদিন এ কে অ্যান্টনির সঙ্গে সাক্ষাত্ করে নিরবে সেই সংঘাতের আবহ প্রশমনের কাজ শুরু করলেন জেনারেল বিজয়কুমার সিং।
শনিবারি সরকারবিরোধী জেহাদে ইতি টেনে নিজের `অবস্থান` ব্যাখ্যা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর `অ্যাপয়েন্টমেন্ট` চেয়েছিলেন তিনি। এদিন এ কে অ্যান্টনির সঙ্গে সাক্ষাত্ করে নিরবে সেই সংঘাতের আবহ প্রশমনের কাজ শুরু করলেন জেনারেল বিজয়কুমার সিং।
প্রাক্তন সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের ট্রাক কেনার জন্য ঘুষ-প্রস্তাবের অভিযোগ, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি ফাঁস, তৃণমূল সাংসদের চিঠিকে হাতিয়ার করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি বিতর্কের পর সোমবারই প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির সঙ্গে দেখা করলেন সেনাপ্রধান ভি কে সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে বাহিনীর আধুনিকিকরণের পাশাপাশি সাম্প্রতিক বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়।
অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে টাট্রা ট্রাক কেনা-বেচায় দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত ব্রিটেনের ট্রাক নির্মাতা ভেকট্রা-র কর্ণধার ভারতীয় বংশোদ্ভূত রবি ঋষিকে জেরা করে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টগেশন (সিবিআই)। দুপুরে সিবিআই দফতরে তলব করে তাঁকে জেরা করা হয়। গতকাল দীর্ঘ জেরার পর ঋষির পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তাঁকে আপাতত দেশ ছাড়তেও নিষেধ করেছিল সিবিআই।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান ভি কে সিং একটি ইংরেজি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নাম না-করে প্রাক্তন সেনাপ্রধান তেজেন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর জন্য টাট্রা সংস্থার কাছ থেকে ৬০০টি নিম্নমানের গাড়ি কেনার বিনিময়ে তাঁকে ১৪ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। এরপর সংশ্লিষ্ট সংস্থার তৈরি নিম্নমানের ট্রাকগুলি কেনা হয় বলেও জানিয়েছিলেন জেনরেল সিং। মিডিয়ায় এই ঘটনা প্রচারিত হওয়ার পরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। সেনাবাহিনীতে টেট্রা ট্রাক কেনাবেচায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিবিআই।
চেক প্রজাতন্ত্রের ট্রাক নির্মাতা কোম্পানি টেট্রা-র প্রধান অংশীদার, ভেকট্রা-র বিরুদ্ধেও কয়েকটি আর্থিক অনিয়মের খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। সে বিষয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের দুর্নীতিদমন বিভাগের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে সিবিআইয়ের ইকনমিক অফেন্স উইং। পুরো ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় ফৌজে টাট্রা ট্রাক সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা `ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড` (বিইএমএল)-এর নামও উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। কারণ, ভেকট্রা`র মাধ্যমেই টেট্রা ট্রাকের যন্ত্রাংশ আমদানি করে সেগুলি জুড়ে ট্রাক তৈরি করে সেনাবাহিনীকে বিক্রি করত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিইএমএল।