বন্ধ হবে না চার ধাম যাত্রা! জোশীমঠে ধসের মাঝেই বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ যাত্রীরা আসেন এই রাজ্যে তীর্থ করতে। সেখানে যেভাবে ভাঙন হয়ে তলিয়ে গিয়েছে বহু এলাকা, তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি ব্যাহত হবে চার ধাম যাত্রাও। যদিও উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ধসে ক্ষতির পরিমাণ মারাত্মক কিছু নয়। ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ বর্তমানে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যেভাবে ভাঙনের কবলে পড়েছে যোশীমঠ, তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে দেশে। উত্তরাখন্ড সেই রাজ্য, যা দেবভূমি হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ যাত্রীরা আসেন এই রাজ্যে তীর্থ করতে। সেখানে যেভাবে ভাঙন হয়ে তলিয়ে গিয়েছে বহু এলাকা, তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি ব্যাহত হবে চার ধাম যাত্রাও। যদিও উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ধসে ক্ষতির পরিমাণ মারাত্মক কিছু নয়। ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ বর্তমানে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। বুধবার গাড়ওয়াল হিমালয়ের এই শহর নিয়ে ধামির মন্তব্য, আগামী সময়ে চার ধাম যাত্রাও শুরু হবে।
যোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্নও কেন্দ্রও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভাঙন দুর্ঘটনার পর। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী ধামী বলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সমস্ত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, "যোশীমঠের বিশেষ পর্যটক আকর্ষণ আউলিতে, সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। পর্যটকরা এখনও আউলিতে ভিড় করছেন।"
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যোশীমঠের পরিস্থিতির কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। অনেকে ভয়ের কারণ বর্ণনা করেছেন, এর সত্যতা নেই। চারধাম যাত্রা আগামী চার মাসের মধ্যে শুরু হবে, এমন আশার কথাও শোনান তিনি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই উত্তরাখন্ড সরকার যোশীমঠকে 'বসবাস অযোগ্য' এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরপর পুষ্কর সিং ধামির এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ধামি বলেন, যোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শহরের পঁচিশ শতাংশ এলাকা এখন পর্যন্ত ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই এলাকায় বসবাসকারী জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করে গত কয়েক দিনে জোশীমঠের ৮০০-র বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলগর্ভে তলিয়েছে শহরের রাস্তা-মন্দির-জমি। এই পরিস্থিতিতে আদৌ কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে যোশীমঠ, তা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই।