উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের পর নিগৃহীতাকে পুরিয়ে মারল দুষ্কৃতীরা
মধ্যমগ্রামের পুনরাবৃত্তি এবার উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধনগরে। গণধর্ষণের ছবি তুলে নাবালিকাকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় চলছিল। একলা পেয়ে ঘরে ঢুকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা হতেই রুখে দাঁড়ায় নির্যাতিতা। বাধা পেয়ে নিগৃহীতাকে আগুনে পুড়িয়ে মারল দুষ্কৃতী। মধ্যমগ্রামের স্মৃতি এখনও দগদগে।
ব্যুরো: মধ্যমগ্রামের পুনরাবৃত্তি এবার উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধনগরে। গণধর্ষণের ছবি তুলে নাবালিকাকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় চলছিল। একলা পেয়ে ঘরে ঢুকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা হতেই রুখে দাঁড়ায় নির্যাতিতা। বাধা পেয়ে নিগৃহীতাকে আগুনে পুড়িয়ে মারল দুষ্কৃতী। মধ্যমগ্রামের স্মৃতি এখনও দগদগে।
মধ্যমগ্রামকেও ছাপিয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধনগর। নৃশংস, পাশবিক অত্যাচারের পর আগুন লাগিয়ে এক নাবালিকাকে পুড়িয়ে মারল দুষ্কৃতী।
প্রতিবেশী লোকেন্দ্রকে ""চাচা'' বলেই ডাকত বছর পনেরোর মেয়েটি। কিন্তু তার মধ্যেই যে লুকিয়ে রয়েছে এমন ভয়ঙ্কর পাশবিক প্রবৃত্তি, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি সে। বুঝতে পারে আটমাস আগেই। লোকেন্দ্র সহ চার প্রতিবেশী তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেই ছবিও তুলে রাখে তারা। এরপর শুরু হয় ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়।
শনিবার রাতে যে ঘটনা ঘটল, তা আরও ভয়ানক। কাজে বেরিয়েছিলেন বাবা-মা। গৌতমবুদ্ধ নগরের গ্রামের বাড়িতে একাই ছিল মেয়েটি। এই সুযোগে ফের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে লোকেন্দ্র। বাধা দিলে গায়ে তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় অভিযুক্ত।
শরীরের নব্বই শতাংশ পুড়ে যায় নিগৃহীতার। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার মৃত্যু হয় ওই নির্যাতিতার। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে লোকেন্দ্রর স্ত্রী অর্চনাকে গ্রেফতার করে পুলিস। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাসি।