মধ্যপ্রদেশ থেকে উদ্ধার বাঁকুড়ার কিশোরী
বাবা মারা গেছেন । অসুস্থ ভাইকে নিয়ে চিকিতসার জন্য দীর্ঘদিন শহরে থাকতে হচ্ছে মাকে। অভাবের সংসারে তাই সহজেই কাজের প্রস্তাব লুফে নিয়েছিল বাঁকুড়ার ছাতনার প্রত্যন্ত গ্রামের এক কিশোরী। আর সেটাই কাল হল । কিশোরীকে পাচার করা হয় মধ্যপ্রদেশে। অবশেষে কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিস। গ্রেফতার পাচার চক্রের পাঁচ পাণ্ডা।
ব্যুরো: বাবা মারা গেছেন । অসুস্থ ভাইকে নিয়ে চিকিতসার জন্য দীর্ঘদিন শহরে থাকতে হচ্ছে মাকে। অভাবের সংসারে তাই সহজেই কাজের প্রস্তাব লুফে নিয়েছিল বাঁকুড়ার ছাতনার প্রত্যন্ত গ্রামের এক কিশোরী। আর সেটাই কাল হল । কিশোরীকে পাচার করা হয় মধ্যপ্রদেশে। অবশেষে কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিস। গ্রেফতার পাচার চক্রের পাঁচ পাণ্ডা।
বাবার মৃত্যুর পর অসুস্থ ভাইয়ের চিকিত্সার জন্য দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে মা। ছাতনার ঝান্টি পাহাড়ি গ্রামের বাড়িতে আরেক ভাইকে নিয়ে একাই থাকত বছর ষোলোর এই কিশোরী। তাঁর একা থাকার সুযোগকে কাজে লাগায় প্রতিবেশী ঝিলাপি বাউড়ি ও তাঁর মেয়ে কাজল সিং। উনত্রিশে এপ্রিল কাজ দেওয়ার নাম করে কিশোরীকে বোকারো নিয়ে যায় তারা। সেখানে মহেশ সিং নামে এক নারী পাচারকারীর কাছে সত্তর হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় ওই কিশোরীকে। সেখান থেকে হাত বদল করে রঘুবীর প্রজাপতি নামে এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে হানা দিয়ে রঘুবীর প্রজাপতির বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিস। হদিশ মেলে আন্তঃরাজ্য নারীপাচার চক্রের। কাজল সিং সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
ধৃতদের রবিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। দেহ ব্যবসার উদ্দেশ্যেই কিশোরীকে পাচার করা হয়েছিল বলে অনুমান পুলিসের।