সামান্য কমেছে জন্মহার, জানাচ্ছে টিএফআর রিপোর্ট
বিগত দু`বছরে দেশের জন্মহার সামান্য নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্য অন্তত সেই কথাই বলছে। ২০০৯-এর পর ২০১০ সালে দেশের জন্মহার ২.৬ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ২.৫। রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ুতে জন্মহার সবচেয়ে কম। আর জন্মহার বৃদ্ধির নিরিখে সবথেকে এগিয়ে বিহার।
বিগত দু`বছরে দেশের জন্মহার সামান্য নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্য অন্তত সেই কথাই বলছে। ২০০৯-এর পর ২০১০ সালে দেশের জন্মহার ২.৬ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ২.৫। রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ুতে জন্মহার সবচেয়ে কম। আর জন্মহার বৃদ্ধির নিরিখে সবথেকে এগিয়ে বিহার।
একজন মহিলা যে ক`টি সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম পরিসংখ্যানের ভাষায় তাই হল `টোটাল ফার্টিলিটি রেট` বা মোট জন্মহার, সংক্ষেপে টিএফআর। দেশের এই মোট জন্মহার নিয়েই সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্যাম্পেল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০০৯ থেকে ২০১০ সালে এই জন্মহার প্রায় সব ক্ষেত্রেই কমেছে। শহরের ক্ষেত্রে এই হার ২ থেকে কমে হয়েছে ১.৯। আর গ্রামে ২.৯ থেকে কমে হয়েছে ২.৮।
টিএফআরের বিচারে সবচেয়ে কম জন্মহার তামিলনাড়ুতে। সেখানে সংখ্যাটা ১.৭। এরপরই কম জন্মহারের রাজ্যের তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, হিমাচলপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এই প্রতিটি রাজ্যেই জন্মহার ১.৮।
তবে জন্মহার অনেকটাই বেশি মধ্য এবং উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জন্মহার বিহারের ৩.৭। এরপরই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ড।
রেজিস্ট্রার জেনারেলের চূড়ান্ত সিলমোহর পাওয়ার পর শনিবারই এই রিপোর্টটি জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে। বেড়ে চলা জনসংখ্যার এই দেশে জন্ম কমার এই রিপোর্ট কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।