প্রাসঙ্গিকতা ফেরাতে মতাদর্শকে সমকালীন করায় জোর সিপিআইএম-এর
পর পর নির্বাচনী বিপর্যয়ে দেশ জুড়ে কোণঠাসা বামেরা। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তাই দলের মতাদর্শকে আধুনিক করতে চলেছে সিপিআইএম। মতাদর্শের প্রশ্নে তাই নতুন দলিলে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে।
পর পর নির্বাচনী বিপর্যয়ে দেশ জুড়ে কোণঠাসা বামেরা। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তাই দলের মতাদর্শকে আধুনিক করতে চলেছে সিপিআইএম। মতাদর্শের প্রশ্নে তাই নতুন দলিলে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে।
আজ কেরলের কোঝিকোড়ে দলের ২০তম পার্টি কংগ্রেসের তৃতীয় দিনে বহু চর্চিত মতাদর্শগত দলিলের খসড়া পেশ করলে সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি। এর আগেই সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত জানান অন্য দেশের অনুকরণে নয়, ভারতীয় রাজনীতির বাস্তবতার ভিত্তিতেই পরিচালিত করতে হবে দলকে।
সিপিআইএম নেতাদের বিরুদ্ধে একটি বহুচর্চিত অভিযোগ হল, তাঁরা এখনও নিজেদের চিন্তাকে সোভিয়েত প্রভাবমুক্ত করতে পারেননি। এই সমালোচনাকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই নিজেদের মতাদর্শকে একুশ শতকের উপযোগী করতে উদ্যোগী হয়েছে সিপিআইএম। আর একুশ শতকের সেই সমাজতন্ত্রে উত্তরণের পথে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অনিবার্যতাকে।
সাবেক মার্কসবাদের ধারণা ছিল সমাজতন্ত্র মানে একদলীয় ব্যবস্থা। সিপিআইএম নেতারা মনে করছেন ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুগভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত। মত প্রকাশের অধিকারে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ ভারতীয় রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্য নয়। সেই কারণেই নতুন দলিলে ভারতের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সমাজ পরিবর্তনের কথা বলেছে সিপিআইএম।
নতুন এই দলিলে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল জাত ও ধর্মের রাজনীতি সম্পর্কে সিপিআইএমের অবস্থান। দলিলে সিপিআইএম স্বীকার করে নিয়েছে, " ভারতের মতো দেশে জাত-ধর্মের রাজনীতি অনিবার্য। এই ব্যবস্থার যে সামাজিক বৈষ্যমের দিকটি রয়েছে তা নিয়ে আন্দোলন জরুরি। দেশে দলীয় সংগঠন প্রসারে শুধুমাত্র শ্রেণীভিত্তিক আন্দোলন যথেষ্ট নয়।"