টুজি কেলেঙ্কারিতে পি চিদাম্বরমের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে শুনানি শুরু হল দিল্লির পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ সিবিআই আদালতে। গত ৮ ডিসেম্বর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ও পি সাইনি শুনানি গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবেদনকারী পক্ষের প্রাথমিক বক্তব্যের পেশের পর আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন বিচারক সাইনি। পরবর্তী শুনানির পর আবেদনকারী পক্ষের পেশ করা তথ্যপ্রমাণে সন্তুষ্ট হলে অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন যুগ্মসচিব তথা বর্তমান ক্রিড়াসচিব সিন্ধুশ্রী খুল্লার এবং সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর এইচ সি অবস্থিকে ২০০৮ সালের স্পেকট্রাম কেলঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার সাক্ষী হিসেবে তলব করবেন বিচারক।
২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রকের আর্থিক বিষয়ক বিভাগের একটি নোট ইতিমধ্যেই আদালতের হাতে এসেছে। তথ্যের অধিকার আইনে প্রাপ্ত এই নোটে বলা হয়েছে, স্পেকট্রাম বণ্টনের বিষয়ে তত্কালীন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজার সমস্ত সিদ্ধান্তের শরিক ছিলেন পি চিদাম্বরম। স্পেকট্রাম পাওয়ার পর সোয়ান টেলিকম এবং ইউনিটেক ওয়্যারলেস নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বিদেশি সংস্থার কাছে শেয়ার বিক্রি করেছিল। রাজার সঙ্গে পরামর্শ করে তত্কালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
বিশেষ সিবিআই আদালতের এদিনের শুনানি পিছনোর সিদ্ধান্তে নিশ্চিত ভাবেই কিছুটা স্বস্তি পেলেন চিদাম্বরম। বস্তুত, শীতকালীন অধিবেশনে আগেই টু-জি কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী আন্দিমুথু রাজার সঙ্গে এক সারিতে চিদাম্বরমকে রেখে তাঁকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। এর পর জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত হোটেল ব্যবসায়ী এস পি গুপ্তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য তামিলনাড়ুর কংগ্রেস নেতার 'ব্যক্তিগত উদ্যোগ'-এর কথা মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার পর তাঁর পদত্যাগের দাবিতে গত দু'দিন ধরে সংসদ অচল করে রেখেছেন এনডিএ সাংসদরা।
যদিও সম্মিলিত বিরোধী পক্ষের প্রবল চাপের মুখে পড়েও কোনও অবস্থাতেই পদ ছাড়তে নারাজ পালানিয়াপ্পন চিদাম্বরম।
টুজি কাণ্ডে চিদাম্বরমের ভূমিকা জানতে শুনানি আদালতে