দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ বলবত হবে দেশের সব মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয়স্থান সহ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে

Updated By: Aug 23, 2018, 01:24 PM IST
দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের ধর্মীয়স্থানগুলির সম্পর্কে এবার কি বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ শুরু হল? এমনই হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশে। ধর্মীয়স্থানগুলিতে এবার বিচারবিভাগীয় অডিটের নির্দেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট।

আরও পড়ুন-মোমোর দেশে মোমোর বলি! কার্শিয়ঙে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যার জল্পনা

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আনু‌যায়ী দেশের সব ধর্মীয়স্থান ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, স্বচ্ছতা, হিসেব নিকেশ পরীক্ষা করে দেখা হবে। ওইসব ধর্মীয়স্থানের বিরুদ্ধে কোনও নালিশ থাকলে তা জেলাশাসককে পরীক্ষা দেখতে হবে। সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। ওই রিপোর্টই জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।

সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ বলবত হবে দেশের সব মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয়স্থান সহ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এস আবদুল নাজির ও বিচারপতি আদর্শ কে গোয়েল এর বেঞ্চ তার রায়ে জানিয়েছে, ধর্মীয়স্থানগুলিতে পূণ্যর্থীরা ‌যে অসুবিধার সম্মুখীন হন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে খামতি, স্বচ্চতা বজায় রাখা, দানের হিসেবনিকেশ রাখার বিষয়টি শুধুমাত্র রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের উদ্বেগের বিষয় নয় বরং তা আদালতেরও বিচা‌র্য বিষয়।

আরও পড়ুন-ট্রেন্ট ব্রিজে সৌরভকে টপকে গেলেন বিরাট

উল্লেখ্য, দেশে ২০ লাখ মন্দির রয়েছে। শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতেই রয়েছে ৭ হাজার প্রাচীন মন্দির। মসজিদ রয়েছে ৩ লাখ। এছাড়াও রয়েছে কয়েক হাজার গির্জা। ওইসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি মামলা ঝুলে রয়েছে। আদালতে বিপুল সংখ্যক বিচারপতির পদ খালি থাকার কারণে মামলাগুলির এখনও নিস্পত্তি হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত দেশের অধিকাংশ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চলে প্রথাগত পদ্ধতিতে। ওইসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। ফলে তাদের সম্পর্কে খবর নেওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে পড়বে বলেই কোনও কোনও মহল মনে করছে।

.