রাজীব কাণ্ডে শুনানি আগামিকাল, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠন হল ৩ সদস্যের বেঞ্চ

উল্লেখ্য, গতকালের সিবিআই ও কলকাতা পুলিসের বাদানুবাদ গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সারদা কাণ্ডের তদন্তে অসহযোগিতা এবং সিবিআই কর্তাদের হেনস্তার অভিযোগ এনে আজ সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় সিবিআই

Updated By: Feb 4, 2019, 07:55 PM IST
রাজীব কাণ্ডে শুনানি আগামিকাল, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠন হল ৩ সদস্যের বেঞ্চ
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিস বিবাদকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠন হল তিন সদস্যের বেঞ্চ। ওই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। আগামিকাল পরবর্তী শুনানি হবে ওই বেঞ্চে।

আরও পড়ুন- ‘বিজেপির একমাত্র বুকের পাটা রয়েছে নিতিন গডকড়ির’ বললেন রাহুল

উল্লেখ্য, গতকালের সিবিআই ও কলকাতা পুলিসের বাদানুবাদ গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সারদা কাণ্ডের তদন্তে অসহযোগিতা এবং সিবিআই কর্তাদের হেনস্তার অভিযোগ এনে আজ সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সরকারি আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সারদা চিটফান্ড মামলায় পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে একাধিকবার তলব করা হয়। কিন্তু বারবারই তদন্তে অসহযোগিতা করেন তিনি। এমনকি পুলিস কমিশনারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করারও অভিযোগ তোলে সিবিআই। এ পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে থাকলে, তার প্রমাণ পেশ করুন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যে তিনি অনুতপ্ত হবেন। সুপ্রিম কোর্টের এ হেন পর্যবেক্ষণ রীতিমতো তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এমন ব্যবস্থা নেব, সারা জীবন পস্তাবে, বললেন প্রধান বিচারপতি

সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার কলকাতার পুলিস কমিশনারকে জেরা করতে গিয়ে পুলিসের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। কলকাতায় সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে রবিবার তাঁর দফতরেই বন্দি করা হয়। এমনকী তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, অবিলম্বে সেই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, কী করে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধরনায় বসতে পারেন পুলিস আধিকারিকরা। 

.