ভালোই নাকানিচোবানি খাওয়াবে গরম

শীত এবার তেমন পড়েইনি। তবে ভালোই নাকানিচোবানি খাওয়াবে গরম। ভিলেন সেই এল নিনো। গোটা শীতে মাত্র সাত দিন স্বাভাবিকের থেকে নীচে নামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এল নিনোর কারণে এবছর গরম পড়বে তীব্র। বাতাসের গতিবিধিও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

Updated By: Feb 14, 2016, 08:55 PM IST
ভালোই নাকানিচোবানি খাওয়াবে গরম

ওয়েব ডেস্ক: শীত এবার তেমন পড়েইনি। তবে ভালোই নাকানিচোবানি খাওয়াবে গরম। ভিলেন সেই এল নিনো। গোটা শীতে মাত্র সাত দিন স্বাভাবিকের থেকে নীচে নামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এল নিনোর কারণে এবছর গরম পড়বে তীব্র। বাতাসের গতিবিধিও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

শীত এবার পড়লই না। মাঘের শেষেই বেশ গরম। পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে, অফিস, মেট্রো, বাস। সর্বত্রই এই আলোচনা। শীতের শেষে বসন্তের আগমনের জানান দেওয়া দক্ষিণা বাতাসের দেখা মেলাও ভার। উল্টে এখন থেকেই বেলা বাড়লে মনে হচ্ছে ভালো গরম পড়ে গেছে। এ বছর তীব্র গরমের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিদরা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি যেভাবে তাপমাত্রা বেড়েছে তাতে শক্তিশালী এল নিনোর প্রভাবে গোটা গরমের মরশুম নিয়ে আশঙ্কায় আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের মতে, ঋতুবৈচিত্রের এই উলটপুরাণের মূলে রয়েছে এল নিনো।

এল নিনো কী? প্রশান্ত মহাসাগরের জলের ওপরের স্তরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেটাকেই এল নিনো বলে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এল নিনো আগে কোন কোন সময় সক্রিয় বা অতি সক্রিয় ছিল।

১৯৫৭-১৬৫৮তে মার্চ-জুন মাস পর্যন্ত শক্তিশালী ছিল এল নিনো।

১৯৬৫-১৯৬৬তে অগাস্ট-জানুয়ারি পর্যন্ত বজায় ছিল নিনোর প্রভাব।

১৯৭২-৭৩ সালে এপ্রিল থেকে অগাস্ট পর্যন্ত শক্তিশালী ছিল ।

১৯৮২-৮৩ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অতি শক্তিশালী ছিল এল নিনো।

১৯৯৭-৯৮ এর জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত  নিনো সক্রিয় ছিল ।

এরপর ২০১৫-১৬-এ ফের অতি সক্রিয়ভাবে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছে এল নিনো।

পরিসংখ্যান বলছে এইসব কিছুরই নজির রেখেছে এল নিনো। বিঘ্নিত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এল নিনোর প্রভাব চলবে মার্চ পর্যন্ত। এরপর ধীরে ধীরে শক্তি কমাতে পারে সে। তবে শুধু এল নিনো নয়। সময়ের থেকে যথেষ্ঠ আগে গরম পড়ে যাওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তনও দায়ী বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

.