ভোট পরবর্তী জোট অটুট রাখতে চাইছেন খোদ সোনিয়া গান্ধি
ভোট পরবর্তী জোট অটুট থাক। চাইছেন খোদ সোনিয়া গান্ধি। বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির পদ বামেদের ছেড়ে সেই বার্তাই আরও একবার স্পষ্ট হল। বাম ও কংগ্রেস, দুপক্ষেরই বক্তব্য এই পরিস্থিতিতে জোটবদ্ধভাবেই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিধানসভায় ওয়াকআউট করে জোট সৌজন্য বজায় রাখল দুপক্ষই।
ওয়েব ডেস্ক: ভোট পরবর্তী জোট অটুট থাক। চাইছেন খোদ সোনিয়া গান্ধি। বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির পদ বামেদের ছেড়ে সেই বার্তাই আরও একবার স্পষ্ট হল। বাম ও কংগ্রেস, দুপক্ষেরই বক্তব্য এই পরিস্থিতিতে জোটবদ্ধভাবেই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিধানসভায় ওয়াকআউট করে জোট সৌজন্য বজায় রাখল দুপক্ষই।
বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসে বিরোধী দল। এটাই রেওয়াজ। দুহাজার এগারোয় PAC-র চেয়ারম্যান ছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক জ্ঞান সিং সোহনপাল। তখন বিধানসভায় বিরোধী দলে বামেরা। এরপর দুহাজার ষোলো। জল গড়িয়েছে অনেকটাই। নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে ভোটে লড়েছে বামেরা। ফলপ্রকাশের পর জোট অস্তিত্ব আদৌ থাকবে কিনা তানিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। এরইমধ্যে কংগ্রেসকে এই পদটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় বামেরা। প্রস্তাব নিয়ে হাইকমান্ডের কাছে যান বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। বামেদেরকে এই পদটি ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দেয় কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেইমত PAC-র চেয়ারম্যান হলেন বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।
শুধু PAC-ই নয়, কর্মাশিয়াল স্ট্যান্ডিং কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। শ্রমবিষয়ক কমিটির দায়িত্বে এসেছেন আনিসুর রহমান। তবে রাষ্ট্রায়ত্ব ও স্বরাষ্ট্র কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানস ভুঁইঞাকে। বাম-কংগ্রেস দুদলের সম্মতি নিয়ে তৈরি হয় প্রাথমিক তালিকা। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, পিএসির মত গুরুত্বপূর্ণ পদটি বামেদের ছেড়ে রাজনৈতিক সৌজন্যের পাশাপাশি ভোট পরবর্তী জোটে যে দিল্লিও অরাজি নয়, সেই বার্তাই স্পষ্ট হল ।