ভোডাফোন-রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতে
ভোডাফোনের বিরুদ্ধে কর বিতর্ক মামলার রায় পুনর্বিবেচনার কেন্দ্রের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২০ জানুয়ারি ভোডাফোনের পক্ষে দেওয়া শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে ১২১টি যুক্তি পেশ করা হয়েছিল প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়ার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে।
ভোডাফোনের বিরুদ্ধে কর বিতর্ক মামলার রায় পুনর্বিবেচনার কেন্দ্রের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২০ জানুয়ারি ভোডাফোনের পক্ষে দেওয়া শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে ১২১টি যুক্তি পেশ করা হয়েছিল প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়ার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে।
২০০৭-এ হাচিসন-এসার কোম্পানিতে হংকং-ভিত্তিক হাচিসনের ৬৭ শতাংশ শেয়ার ১,১০০ কোটি ডলারে কেনে ব্রিটিশ বহুজাতিক ভোডাফোন। কিন্তু এ জন্য কেন্দ্রকে কর দেয়নি তারা। ভোডাফোন-এর দাবি ছিল, এটি আদতে ২টি বিদেশি সংস্থার মধ্যে চুক্তি। তা সইও হয়েছে বিদেশে। ফলে, এ জন্য কর দাবি করতে পারে না ভারত সরকার। অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি ছিল ভারতে মোবাইল পরিষেবা ভাগাভাগি নিয়ে চুক্তি করেছে দুই মোবাইল পরিষেবা সংস্থা। আর তাই এ থেকে ১২,০০০ কোটি টাকা কর প্রাপ্য ভারত সরকারের। মুম্বই হাইকোর্ট কেন্দ্রের পক্ষে রায় দিলেও চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়ার নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ ভোডাফোন কর্তৃপক্ষের যুক্তি মেনে নেয়। সেই সঙ্গে ভোডাফোনের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি হিসেবে জমা রাখা টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রকে। সরকারের তরফে এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান হলেও এদিন তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
তবে শীর্ষ আদালতের রায়ে সাময়িক স্বস্তি পেলেও সম্ভবত ভোডাফোন কর্তৃপক্ষকে অদূর ভবিষ্যতেই ফের কেন্দ্রের কর মেটানোর দাবির মুখোমুখি হতে হবে। এবারের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বর্তমান আয়কর আইন সংশোধন করে ১৯৬২ সাল থেকে বিদেশের মাটিতে হওয়া এ ধরণের সমস্ত চুক্তিকে `করযোগ্য` তালিকায় আনার কথা বলেছেন। এর ফলে মোট ৩০,০০০ কোটি টাকা রাজকোষে আসতে পারে বলেও জানান তিনি।