রাজ্যসভাতেও এনসিটিসি `ফাঁড়া` কাটল কেন্দ্রের, ভোটাভুটিতে বিরত তৃণমূল
লোকসভার পর এবার রাজ্যসভাতেও ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার (এনসিটিসি) ইস্যুতে `ফাঁড়া` কাটাল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এনসিটিসি নিয়ে ভোটাভুটি হয় রাজ্যসভায়। এই ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায় এনসিটিসি নিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের ভাষণে বাম ও বিজেপির আনা সংশোধনী প্রস্তাব।
লোকসভার পর এবার রাজ্যসভাতেও ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার (এনসিটিসি) ইস্যুতে `ফাঁড়া` কাটাল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এনসিটিসি নিয়ে ভোটাভুটি হয় রাজ্যসভায়। এই ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায় এনসিটিসি নিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের ভাষণে বাম ও বিজেপির আনা সংশোধনী প্রস্তাব। সংশোধনীর পক্ষে ভোট পড়ে ১০৫টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৮২টি।
শুরু থেকে বিরোধিতা করলেও, লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও এনসিটিসি নিয়ে ভোটাভুটিতে বিরত থাকে ইউপিএ শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটাভুটি শুরু হওয়ার আগে তৃণমূলের ৬ জন সদস্যই রাজ্যসভা কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এনসিটিসি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সন্ত্রাস রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এনসিটিসি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতায় ভোটাভুটির পর রাজ্যসভা থেকে ওয়াক-আউট করে বিজেপি। অপরদিকে সরকারের পক্ষে ভোট দেয় সমাজবাদী পার্টি (সপা) ও বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা)।
এনসিটিসি-র সমালোচনা করে এদিন রাজ্যসভায় বিজেপি জানায়, রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করবে এনসিটিসি। বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি বলেন, ``রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করবে না এনসিটিসি। প্রধানমন্ত্রীকে সেই আশ্বাস দিতে হবে।`` সিপিআইএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, এনসিটিসি নিয়ে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীদের আপত্তি থাকলে, এই ইস্যুতে সরকারকে পিছু হঠতে হবে। এর আগে সোমবার এনসিটিসি নিয়ে বিরোধিদের সংশোধনী প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় লোকসভাতেও। তবে প্রথম থেকে বিরোধিতা করলেও, এনসিটিসি নিয়ে ভোটাভুটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরত থাকার বিষয়টি যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।